সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদের ৫০ কমিটির সদস্যদের নাম নিজ হাতে লিখে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে এর আগে কোনো সংসদ এত দ্রুত কমিটি গঠন করতে পারেনি। আর এবারই সবগুলো নিজ হাতে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
Advertisement
৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের পথচলার পর ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সংসদীয় কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়। ১০টি কার্যদিবসে তিনি নিজ হাতে অধিবেশন কক্ষে বসে সভাপতি ও সদস্যদের নাম লেখেন। কমিটি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর নিজের হাতে লেখা কাগজগুলো সংসদের মহামূল্যবান দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার জাতীয় সংসদে সর্বশেষ ৭টি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে ৪৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিগুলোর নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের হাতে লিখেছেন বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন।
সরকারি শত ব্যস্ততার মাঝেও সংসদে বসে নিজের হাতে লিখে কমিটিগুলো গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘এই সকল সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রত্যেকটি গঠনে মাননীয় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শত ব্যস্ততার মাঝেও সংসদের বৈঠক চলাকালীন সংসদ কক্ষে উপস্থিত থেকে অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে অনেক সময় দিয়ে নিজের হাতে লিখে কমিটি গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। অত্যন্ত ধর্যের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে নিজ হাতে কমিটিগুলো গঠন করেছেন।’
Advertisement
সংসদের প্রথম অধিবেশনে মাত্র ১০ কার্যদিবসে সবগুলো কমিটি গঠন একটি অনন্য দৃষ্টান্ত ও মাইলফলক বলে মন্তব্য করেন স্পিকার। তিনি বলেন, ‘এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নিজ হাতে লেখা নির্বাচনী আসনসহ কমিটির সদস্যদের নামের তালিকাগুলো জাতীয় সংসদে অমূল্য দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখা হবে।’
স্পিকারের হাতে থাকা প্রধানমন্ত্রীর নিজ হাতে লেখা কমিটিগুলোর নাম সদস্যদের উদ্দেশে দেখান স্পিকার। এসময় সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা টেবিল চাপড়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। সংসদে উপস্থিত শেখ হাসিনাও মিটি মিটি হাসেন। তবে চোখ ছিল তার টেবিলে রাখা একগাদা ফাইলে।
প্রসঙ্গত, সরকারের বিভিন্ন কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংসদীয় কার্যপ্রণালীর বিধি অনুযায়ী কমিটিগুলো গঠন করা হয়ে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক কমিটিকে মাসে অত্যন্ত একটি করে বৈঠক করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এইচএস/এসআর/এমএস
Advertisement