রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের একমাত্র সিটি স্ক্যান মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে গত ২৪ দিন ধরে। ফলে বাধ্য হয়ে বাইরের রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে রোগীদের। এতে রোগীদের বাড়ছে ভোগান্তি, বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়। তবে অচিরেই মেশিনটি চালু করার কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই নড়বড়ে অবস্থায় ছিল সিটি স্ক্যান মেশিনটি। মাঝেমধ্যেই সেটি বন্ধ থাকতো। তারপরও তাতেই কাজ চালাচ্ছিল কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলতো মেশিনটি। কিন্তু গত ২২ জানুয়ারির পর মেশিনটি আর সচল হয়নি। এরপর একে একে কেটে গেছে ২৫ দিন। কিন্তু চালু হয়নি বিকল মেশিন। হাসপাতালে থাকা সিটি স্ক্যান মেশিনটি আধুনিক। ২০১৭ সালে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি সংযোজন করা হয়।
সিটি স্ক্যান মেশিনটি বিকল হওয়ায় হাসপাতালের রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। প্রতিটি ওয়ার্ডে শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছেন। দুর্ঘটনা, মারামারি ও মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ভর্তি মুমূর্ষু রোগীদের তাৎক্ষণিক সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন বিকল হওয়ায় রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে। ভ্যানে করে মুমূর্ষু রোগীদের বাইরে নেয়া যেমন ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি দুর্ভোগের।
রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতালে কোনো ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই সিটি স্ক্যান করানো যায়। তাতে খরচ হয় ২ হাজার টাকা। কিন্তু বাইরের রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে এই পরীক্ষা করাতে গুনতে হয় তিন থেকে ৪ হাজার টাকা। প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে বাইরে ছুটছেন তারা।
Advertisement
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালাক ডা. এনামুল হক বলেন, স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল এরই মধ্যে বিকল মেশিনটি দেখে গেছেন। দ্রুত সেটি সচল করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ৩০টি ওয়ার্ড ও ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ছিল রামেক হাসপাতাল। বর্তমানে ৫৭ ওয়ার্ডে এখানে রয়েছে ১২০০ শয্যা। জরুরি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন দুই থেকে আড়াই হাজার রোগী। সাধ্যমত সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement