ভারতের গুজরাটে শিক্ষা ও চাকরিতে বিশেষ কোটার দাবিতে প্যাটেল সম্প্রদায়ের চলমান বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। রাজ্যটির রাজধানী আহমেদাবাদে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভি ও বিবিসির।এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর বসত্রল এলাকায় পুলিশের গুলিতে দুইজন ও বুধবার পালানপুরে আরেক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আহমেদাবাদের কয়েকটি শহর এবং সুরাতে ইতোমধ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আহমাদের বিভিন্ন স্কুল ও দোকানপাট বন্ধ রাখছে স্থানীয়রা। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা।এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে গুজরাটের বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সহিংসতা কারো জন্যই ভাল কিছু নিয়ে আসবে না। সহিংসতার আশঙ্কায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও হোয়াটস অ্যাপস সেবা বন্ধ করা হয়েছে। দাবি আদায়ে বুধবার গুজরাটে অবরোধ পালন করে প্যাটেল সম্প্রদায়ের লোকজন। এর আগে মঙ্গলবারের বিক্ষোভে লাঠিচার্জের ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় প্যাটেল সম্প্রদায়। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া হার্দিক প্যাটেলকে আটকের ঘণ্টাখানেক পর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি দাবি আদায়ে বুধবার গুজরাটে অবরোধের ডাক দেন।উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটে ২০ শতাংশ লোক প্যাটেল সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায়ের লোকজন হীরক শিল্পের সঙ্গে জড়িত। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নিম্ন বর্ণের জন্য কোটার বিধান রাখায় প্যাটেল সম্প্রদায়ের লোকজনকে অসুবিধায় পড়তে হয়। শিক্ষা ও চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসুবিধার মুখোমুখি না হওয়ার জন্য তারা কোটার দাবি জানাচ্ছে। এসআইএস
Advertisement