দীর্ঘ নয় বছর পর ছাত্র রাজনীতির আঁতুড়ঘর খ্যাত মধুর ক্যান্টিনে বসেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেছেন তারা।
Advertisement
বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেন। এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ হতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন তাদের স্বাগত জানান।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে উত্তর-পূর্ব কোণে বসেছেন। তাদের দক্ষিণ পাশে ছাত্রলীগ ও পশ্চিম পাশে বাম সমর্থিত সংগঠনের নেতাকর্মীরা বসেছেন।
এদিকে মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে-বাইরে সকাল থেকে ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। মুহুর্মুহু স্লোগানে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন তারা। সব ছাত্র সংগঠনের অবস্থানের কারণে দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারো চাঙা মধুর ক্যান্টিন।
Advertisement
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, ডাকসু নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও তাদের অবস্থান জানাতে আজ মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় নয় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল করে ছাত্রদল। ওইদিন সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে তারা মিছিল বের করেন। ওইদিনের মিছিলে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের অগাস্টে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর ডাকা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিতে মধুর ক্যান্টিনে আসার পথে ছাত্রলীগের ধাওয়ায় ফিরে যেতে হয়েছিল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক সংগঠন ছাত্রলীগের দাপটে ছাত্রদল কোনঠাসা হয়ে পড়তে থাকে।
২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল বের করলে ছাত্রলীগের হামলার মুখে পড়ে। পরের বছর একবার মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়।
আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার শেষ সময় ২ মার্চ; যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ৩ মার্চ। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ৫ মার্চ।
Advertisement
এমএইচ/জেডএ/আরআইপি/জেআইএম