রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর খবর দেখে চমকে উঠলেন রিজভী

পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশিত একটি খবর দেখে চমকে উঠেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

Advertisement

বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় আজ একটি খবর দেখে চমকে উঠলাম- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করে বাকি জীবনটা কাটাবেন তার পূর্বপুরুষের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব খুব ভালো খবর। জনগণ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ গণনা শুরু করেছে। কবে আসবে সেই সুখবর যে, আপনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। আমরা সেই তারিখটা জানতে চাই। কারণ, এর আগে ১৯৯৬-২০০১ এ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আপনি ঘোষণা করেছিলেন ৫৭ বছর বয়সে আপনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আপনি ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছেন। আর আট মাস পরে আপনার ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হবে।’

আরও পড়ুন >> অবসরের পর কোথায় চলে যাবেন জানালেন প্রধানমন্ত্রী 

Advertisement

রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণ আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনার কোনো কথার সত্যতা খুঁজে পায়নি। মানুষ এখন মনে করে তিনি যা বলেন করেন সেটির উল্টোটা। আমরা দেখেছি তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রসিকতা করেন, কখনো কাঁদেন, কখনো হাসেন, কখনো গান করেন, হরেক রকমের কথা বলেন। তিনি মানুষের বিশ্বাসের জায়গাটা পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বিনীতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আপনি অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তটি দ্রুত কার্যকর করুন। খুব তাড়াতাড়ি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে মুক্তি দিন।’

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক জনগোষ্ঠীর প্রাণশক্তি বেগম খালেদা জিয়াকে নির্মম মানসিক ও শারীরিকভাবে যন্ত্রণা দেয়া হচ্ছে অন্ধকার কারাগারে রেখে। গতকাল (মঙ্গলবার) বেগম জিয়াকে আদালতে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে কষ্ট দেয়ার জন্যই বসিয়ে রাখা। তার চিকিৎসা না দিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা করছে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার। আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত চলছে নানাভাবে।’

রিজভী বলেন, ‘গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনার সম্মতিতে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরের জন্য প্রস্তাব এনেছেন মিডনাইট ইলেকশনের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তার পরদিন গতকাল নামফলক কালি দিয়ে মুছে দেয়া হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দিলেও হৃদয়ের উপর কোনো হুকুম চলে না, জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী দর্শন ও আদর্শের পিতা। জনগণের প্রেরণার উৎস। তার নাম বাংলাদেশি মানুষের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্র তাকে বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারবে না।’

Advertisement

কেএইচ/জেডএ/জেআইএম