ক্যাম্পাস

শাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের ভরাডুবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১টি পদের মধ্যে একটিও পায়নি বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক পরিষদ’। অন্যদিকে পৃথক প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলি পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ ইকবাল।

নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামীপন্থী মূল অংশের শিক্ষকদের প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দের’ প্রার্থী সভাপতি পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।

আওয়ামীপন্থী মূল অংশ থেকে অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সহসভাপতি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. দীপেন দেবনাথ, কোষাধ্যক্ষ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহিবুল আলম ও যুগ্ম-সম্পাদক ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আফজাল হোসেন।

Advertisement

এছাড়া একই প্যানেল থেকে সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল গণি, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিমেষ সরকার, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুজ্জামান ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চৌধুরী আব্দুল্লাহ-আল-বাকী।

আওয়ামীপন্থী অপর অংশ থেকে বিজয়ীরা হলেন- সদস্য পদে সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১১টি পদের বিপরীতে তিনটি প্যানেল থেকে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন আজিজ খাঁন ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লুৎফুল এলাহী কাওসার।

Advertisement

মোয়াজ্জেম হোসেন/এফএ/জেআইএম