নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট উইকেট এবং বিরুদ্ধ কন্ডিশনে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে টাইগারদের- এমনটা আগেই অনুমান করা হয়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে সে পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা। দলীয় একশো পূরণ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন ছয়জন ব্যাটসম্যান।
Advertisement
টসে জিতে ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরিদের আগুনে পেসের সামনে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তটা বুমেরাং হয়ে ফেরত এসেছে টাইগারদের ইনিংসেই। দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীম যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ভালো শুরু করেও তা ধরে রাখতে পারেননি সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৯ রান। সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রানের জুটি গড়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং মোহাম্মদ মিঠুন। মিরাজ ২৫ এবং মিঠুন ২৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ৪ মেরে শুভসূচনা করেন তামিম ইকবাল। কিন্তু সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ট্রেন্ট বোল্টের করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিলিয়ে আসেন নিজের উইকেট। প্রথম বলের বাউন্ডারিসহ মোটে ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
Advertisement
অপর ওপেনার লিটন দাসের অবস্থা আরও করুণ। তিনি সাজঘরে ফেরেন পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে। ম্যাট হেনরির বলে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে ৮ বল খেলে তিনি করেন ১ রান।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে খানিক প্রতিরোধ গড়েন মুশফিকুর রহীম এবং সৌম্য সরকার। তবে এটিকে প্রতিরোধের চেয়ে বরং পাল্টা আক্রমণ বলাই শ্রেয়। নিজের যুতসই ফাস্ট উইকেট পেয়ে তেঁতে ওঠেন সৌম্য। বোল্টের এক ওভারে মারেন জোড়া বাউন্ডারি। হেনরির ওভার থেকে হাঁকান একটি করে ছয় ও চার।
কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে প্রথম দশ ওভার যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটিই প্রমাণ হয় পরের দিকে। ইনিংসের ৮ম ওভারে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক, এক চারের মারে করেন ৬ রান। পরের ওভারেই পুল করতে গিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে পরিণত হন ফিরতি ক্যাচে। তবে ৫ চারের সঙ্গে ১ ছয়ের মারে মাত্র ২২ বলে ৩০ রান করেন তিনি।
নবম ওভারেই মাত্র ৪২ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ইনিংসকে পুনরায় গড়ায় দায়িত্ব নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মোহাম্মদ মিঠুন। নয় ওভারের জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ২৯ রান।
Advertisement
ইনিংসের ১৮তম ওভারে লকি ফার্গুসনের করা ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টার ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে দেরিতে ব্যাট চালান মাহমুদউল্লাহ। এতেই হয় সর্বনাশ। ধরা পড়েন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো রস টেলরের হাতে। আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে করেন ১৩ রান।
একপ্রান্তে থেকে যান মোহাম্মদ মিঠুন। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে উইকেটে আসেন সাব্বির রহমান। দারুণ দুটি ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু অভাগাই বলতে হয় তাকে।
ইনিংসের ২৪তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে সুইপ করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন সাব্বির। সে সুযোগ নিয়ে তাকে স্টাম্পিং করতে একটুও সময় নষ্ট করেননি উইকেটরক্ষক টম লাথাম। মাহমুদউল্লাহর মতোই সাব্বিরের ব্যাট থেকেও আসে ঠিক ১৩ রান।
এসএএস/জেআইএম