নিউজিল্যান্ডে খেলতে গেলে প্রথম দশ ওভার যত কম সম্ভব ব্যাট চালাতে হবে- ওয়ানডে ক্রিকেটে খুবই সাধারণ একটি রীতি বলা চলে এটি। কিন্তু সেটির তোয়াক্কা না করে খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। প্রথম পাওয়ার প্লে'র মধ্যেই হারিয়ে বসেছে ৪টি উইকেট।
Advertisement
নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান না থাকায় বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানোর তাগিদে সাইডবেঞ্চেই রাখা হয় ডানহাত পেসার রুবেল হোসেনকে।
ইনিংসের প্রথম বলেই ৪ মেরে শুভসূচনা করেন তামিম ইকবাল। কিন্তু সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ট্রেন্ট বোল্টের করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিলিয়ে আসেন নিজের উইকেট। প্রথম বলের বাউন্ডারিসহ মোটে ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
অপর ওপেনার লিটন দাসের অবস্থা আরও করুণ। তিনি সাজঘরে ফেরেন পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে। ম্যাট হেনরির বলে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে ৮ বল খেলে তিনি করেন ১ রান।
Advertisement
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে খানিক প্রতিরোধ গড়েন মুশফিকুর রহীম এবং সৌম্য সরকার। তবে এটিকে প্রতিরোধের চেয়ে বরং পাল্টা আক্রমণ বলাই শ্রেয়। নিজের যুতসই ফাস্ট উইকেট পেয়ে তেঁতে ওঠেন সৌম্য। বোল্টের এক ওভারে মারেন জোড়া বাউন্ডারি। হেনরির ওভার থেকে হাঁকান একটি করে ছয় ও চার।
কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে প্রথম দশ ওভার যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটিই প্রমাণ হয় পরের দিকে। ইনিংসের ৮ম ওভারে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক, এক চারের মারে করেন ৬ রান। পরের ওভারেই পুল করতে গিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে পরিণত হন ফিরতি ক্যাচে। তবে ৫ চারের সঙ্গে ১ ছয়ের মারে মাত্র ২২ বলে ৩০ রান করেন তিনি।
নবম ওভারেই মাত্র ৪২ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ইনিংসকে পুনরায় গড়ায় দায়িত্ব নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মোহাম্মদ মিঠুন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৪ রান। মাহমুদউল্লাহ ও মিথুন দুজনই অপরাজিত ৬ রান নিয়ে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাঈফউদ্দীন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং মোস্তাফিজুর রহমান।
Advertisement
এসএএস/জেআইএম