ফুটবলের জন্মদাতা বলা হয় ইংল্যান্ডকে। সেই ইংলিশরাই কি না মাত্র একবার বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্য দেখাতে পেরেছিল। তাও ৫৩ বছর আগে, নিজেদের মাঠ লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে। ইংল্যান্ডের সেই বিশ্বজয়ী জয়ের বিখ্যাত গোলরক্ষক গর্ডন ব্যাঙ্কস নিজেই কি না হেরে গেলেন মরণব্যাধি ক্যানসারের কাছে।
Advertisement
দীর্ঘদিন কিডনি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে ৮১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন গর্ডন ব্যাঙ্কস। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ইংলিশ ফুটবল অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে শোকের বন্যা।
গর্ডন ব্যাঙ্কসকে শুধুমাত্র ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হিসেবেই নয়, তাকে অন্যতম সেরার স্বীকৃতি দেয়া হয়, ১৯৭০ মেক্সিকো বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের দুর্দান্ত একটি হেড থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্ণারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেছিলেন তিনি- সে কারণে। বলা হয়, ইতিহাসের সেরা সেভগুলোর মধ্যে সেটা ছিল একটি।
বিশ্বকাপজয়ী দলের গোলরক্ষক হওয়ার পর নাইটহুড উপাধি দেয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু গর্ডন ব্যাঙ্কস বিতর্কিতভাবে সেই নাইটহুড উপাধি গ্রহণ করেরনি এবং ৩৪ বছর বয়সেই গ্লাভস জোড়া তুলে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ, ১৯৭২ সালে তার বাম চোখ পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। এরপরই তিনি অবসরে চলে যান।
Advertisement
১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড ফুটবল দলের চতুর্থ সদস্য হিসেবে মৃত্যুবরণ করেন গর্ডন ব্যাঙ্কস। এক বিবৃতিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, গতরাতেই গর্ডন এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন পরকালে। তার মৃত্যুতে আমাদের পরিবার পুরোপুরি বিধ্বস্ত। তবে আমাদের অনেক সুখের স্মৃতি রয়েছে এবং এগুলো আমাদের সর্বদা গর্বিত করে।’
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী উরসালা ও তিন সন্তান জুলিয়া, রবার্ট এবং ওয়েন্ডিকে রেখে যান।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement