খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বাড়তি চাপে দেশে আপাতত খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
Advertisement
তিনি জানান, খাদ্য অধিদফতরের সঙ্গে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সম্পাদিত এমওইউ (সমঝোতাস্মারক) স্বাক্ষরের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদলীয় সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
খাদ্যশস্য মজুতের পরিমাণ ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৩১৭ টন
Advertisement
ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের (নেত্রকোনা-৫) প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৩১৭ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে চালের পরিমাণ ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ টন, গম ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৬ টন ও ধানের পরিমাণ ১ হাজার ৩৪৯ টন।
তিনি আরও জানান, দেশে মোট খাদ্য গুদামের সংখ্যা ২ হাজার ৭২২টি এবং গম সংরক্ষণের জন্য সাইলো রয়েছে ৭টি। এসব খাদ্য গুদামের ধারণক্ষমতা ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮২২ টন।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ওএমএস কার্যকর ভূমিকা রাখছে
সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষে গত ১০ বছরে সরকার সফলতা অর্জন করেছে। খাদ্য শস্যের বাজার দরের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষকে সাশ্রয়ীমূল্যে ওএমএস (খোলাবাজারে সরকারের বিক্রি) কর্মসূচিতে চাল ও আটা বিতরণ চালু করা হয়। ওএমএসের মাধ্যমে গত ১০ বছরে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ২২৪ দশমিক ৩৩ হাজার টন খাদ্য শষ্য বিতরণ করা হয়, যা চালের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
Advertisement
তিনি বলেন, নো-প্রোভার্টি ও জিরো হাঙ্গারকে ফোকাস করে কর্মহীন পাঁচ মাস সময়ে পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র জনগণকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া সুপরিকল্পিতভাবে খাদ্যশস্য বিতরণ ও বাজার মনিটিরিংয়ের ফলে খাদ্যশস্যের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
এইচএস/জেডএ/এমএস