জাতীয়

পিডিবির চাকরিতে না থেকেও সরকারি পাজেরো গাড়ি হাঁকান তিনি

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) একজন সাবেক কর্মচারী ও সিবিএ (কালেকটিভ বার্গেনিং এজেন্ট) সভাপতি তিনি। চাকরিরত অবস্থায় পদবি সহকারী হিসাবরক্ষক হলেও গত ১০ বছর ধরে মন্ত্রীদের মতো ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড সংবলিত পাজেরো গাড়ি হাঁকিয়ে চলেন। বর্তমানে চাকরিতে না থাকলেও পাজেরো গাড়ি হাঁকান, সরকারি তেল পোড়ান। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত শুধু গাড়ির ড্রাইভারের বেতন বোনাস ও ওভারটাইম বাবদ ৪০ লাখ, জ্বালানি খরচ ৩৫ লাখসহ কোটি টাকা সরকারের কোষাগার থেকে ব্যয় করেছেন। তার নাম জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। এবার ধরা পড়লেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। আজ (মঙ্গলবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় পিডিবির সিবিএ সভাপতির দখলে থাকা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পাজেরো জিপটি উদ্ধার করেছে দুদক।

Advertisement

দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নেতৃত্বে পিডিবি কর্তৃপক্ষ সাদা রংয়ের পাজেরো জিপটি (সিলেট-ঘ-০২-০০৩৩) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে উপস্থাপন করে।

আরও পড়ুন>> পিডিবির তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হাঁকান পাজেরো গাড়ি

দুদক মহাপরিচালক গাড়িটি পরিদর্শনকালে দেখেন গাড়িটিতে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হচ্ছিল।

Advertisement

দুদকের কাছে ওই গাড়ির চালকের উপস্থাপিত তথ্যে জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে গাড়িটি সিবিএ সভাপতি, সাবেক সহকারী হিসাবরক্ষক জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর হাতে ছিল। দৈনিক ১৫ লিটার জ্বালানি তেল হিসেবে মাসিক ২৯ হাজার ২৫০ টাকা গাড়িটির পেছনে খরচ হয়েছিল। অর্থাৎ গত ১০ বছরে জ্বালানিবাবদ গাড়িটিতে খরচ হয়েছে ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া গাড়ি চালকের বেতন ও ওভারটাইমবাবদ প্রায় ৪০ লাখ টাকা এবং মেরামত ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে গত ১০ বছরে মোট প্রায় এক কোটি টাকা গাড়িটির জন্য ব্যয় করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার পিডিবির সিবিএ'র সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনের কাছ থেকেও একটি পাজেরো জিপ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে দুদকের হস্তক্ষেপে পিডিবি’র দুটি মূল্যবান গাড়ি সিবিএ’র নেতাদের অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করা হলো।

এ প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, এ ঘটনা অবশ্যই সরকারি আর্থিক ক্ষতিসাধন, যা দুদক আইনে অপরাধ। শিগগিরই এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে দুদক।

এমইউ/জেডএ/এমএস

Advertisement