স্বাস্থ্য

আইসিডিডিআর’বিকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ ঘোষণা ওআইসির

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) কে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ ঘোষণা করেছে ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন)। বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তিতে গুরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ খেতাব দেয়া হয়। সম্প্রতি ওআইসি মহাসচিব লায়েড আল মাদানি ও রাষ্ট্রদূত আবদুল মইজ বোখারির নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল আইসিডিডিআর’বির ঢাকা হাসপাতাল পরিদর্শনকালে প্রতিষ্ঠানটিকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।জানা গেছে, ওআইসি তাদের সদস্যভুক্ত ৫৭টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশের গবেষণা কেন্দ্রকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে ঘোষণা করেছে। আইসিডিডিআর’বি ঘোষিত ১০টি দেশের মধ্যে ১টি।আইসিডিডিআরবির একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ওআইসি মহাসচিব সফরকালে আইসিডিডিআর’বির উদ্ভাবিত স্বল্প খরচে চিকিৎসার নতুন নতুন গবেষণা কার্যক্রম- কলেরার টিকা, প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ ও সংক্রমণ রোধে ক্লিন ডেলিভারি কিটস্, তীব্র নিউমোনিয়ায় শিশু রোগীদের শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার সহজতর ডিভাইস সম্পর্কে আলোচনা করেন।ওআইসি মহাসচিব আইসিডিডিআর’বির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান, তাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিভাগের মাধ্যমে তারা সদস্যভুক্ত ৫৭টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এমন ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে ঘোষণার জন্য নির্বাচিত করেছে। আইসিডিডিআরবি এ ১০টি দেশের একটি।রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও জরুরি সময়ে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওআইসি আইসিডিডিআর’বির সাথে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান মহাসচিব।আইসিডিডিআর’বির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন ডি ক্লিমেন্স আইসিডিডিআর’বিকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স ঘোষণা করায় ওআইসি মহাসচিব ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি ওআইসির সহযোগিতায় অদূর ভবিষ্যতে আরো উন্নত গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সাল থেকে ওআইসির সদস্যভুক্ত দেশ। বর্তমান মহাসচিব মাদানি ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ম মহাসচিব হিসেবে যোগদান করেন।এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি