কুকুরকে চলাফেরার সুযোগ না দিয়ে একটানা ২৪ ঘণ্টা বা এর বেশি সময় বেঁধে বা আটকে রাখলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘প্রাণী কল্যাণ আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘১৯২০ সালের পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নিরোধ আইন আছে। সেই আইনের ভিত্তিতে নতুন আইনটি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীর মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীর দায়িত্ব হবে যৌক্তিক কারণ ছাড়া ওই প্রাণীর প্রতি কল্যাণকর ও মানবিক আচরণ করা এবং নিষ্ঠুর আচরণ করা হতে বিরত থাকা। এটা এই আইনের জেনারেল ইন্সট্রাকশন।’
Advertisement
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রাণী জবাইকালে এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উৎস্বর্গকালে যেকোনো ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি কর্তৃক নিজস্ব ধর্মীয় আচার অনুযায়ী কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে তাকে নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য করা হবে না।’
‘কিন্তু কুকুরকে শরীর চর্চার জন্য কোনো প্রকার চলাফেরার সুযোগ না দিয়ে একটানা ২৪ ঘণ্টা বা এর বেশি সময় বেঁধে বা আটকে রাখলে নিষ্ঠুরতা বলে গণ্য হবে। খসড়া আইনে এই জাতীয় কিছু বিষয় আছে’ বলেন শফিউল আলম।
তিনি বলেন, ‘যুক্তিযুক্ত প্রয়োজনে ভেটেরিয়ান সার্জনের লিখিত পরামর্শ ও পদ্ধতি অনুসারে প্রাণীকে অজ্ঞান করার ক্ষেত্রে বা এর ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটানো হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই আইনের অধীনে অপরাধ করলে বা অপরাধে সহায়তা করলে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। শাস্তি ছিল তিন মাসের জেল বা এক হাজার টাকা জরিমানা।’
Advertisement
চূড়ান্ত হলে এই আইনটি মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলে যুক্ত হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তখন এই আইনের অপরাধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচার করা যাবে।’
আরএমএম/এসএইচএস/পিআর