জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কাছে আরও ঋণ সহায়তা চেয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
Advertisement
সোমবার বিকেলে জাইকার প্রতিনিধি হিতোশি হিরাতার নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে জাইকার কাছে আরও ঋণ চাওয়ার বিষয়টি জানান মন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘জাইকার প্রতিনিধি দল আসছিল। এই ভদ্রলোক প্রায় সাড়ে তিন বছর হলো বাংলাদেশে আছেন। সার্বিকভাবে তিনি সন্তুষ্ট কাজে। আমরা বলেছি, আপনারা আমাদের খুব পুরনো বন্ধু। আমরা আপনাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই। তিনি বলেন, ‘কোনো পেমেন্টে আমাদের ল্যাপস হয় নাই। আমি বলছি, আগামীতেও হবে না। সার্বিকভাবে তারা খুশি।’
এম এ মান্নান জানান, এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন ও বিদ্যুতে তাদের আগ্রহ বেশি।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আড়াইহাজারের কাছে একটা এক্সপোর্ট জোনের কাজ চলছে। এটার কাজ শিগগিরই শেষ করতে পারবে বলে তারা আশা করছে। এর মধ্যে তারা বিনিয়োগ আশা করেছে। পিপিপির আওতায় এটা তারা ডেভেলপ করে দিচ্ছে। ডেভেলপ করে দিলে তাদের আশা, আমাদেরও আশা জাপানিজ বিনিয়োগকারীরা আসবে।’
জাইকার সঙ্গে দেশের ৪০টি প্রকল্প চলমান। এই সবগুলোরই কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা যতগুলো প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে, সবগুলোই অনট্রাক আছে। হলি আর্টিসানে দুর্ঘটনা একটা ঘটেছিল, আপনারা জানেন। সেটা কিছুটা ক্ষতি করেছিল। আমি তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করেছি, আর কোনো সমস্যা আছে কি-না। সে বলেছে, ‘যা হবার হয়ে গেছে। এটা আর আমাদের মনের মধ্যে নেই।’ তাদের স্ত্রী-পুত্র কন্যারা দেশে একটু চিন্তাভাবনা করে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি খুব ভালো। তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কিছু সলা-পরামর্শ দিচ্ছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কীভাবে ডিপিপি প্রক্রিয়াজাত হয় সেটা। তারা ডিপিপি এখন যে গতিতে হচ্ছে, তারা মনে করে এটা বোধ হয় আরও দ্রুত করা যাবে। আমারও ওটাতে আগ্রহ। আমিও চাই, এটা আরও দ্রুত হোক।’
Advertisement
পিডি/জেএইচ/পিআর