ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘একক প্রার্থী’ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান স্টিফেনকে নিয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে স্থানীয় রাজনীতি। রোববার বিকেলে স্টিফেন সমর্থকরা বিক্ষোভ করে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী কাজী জহির সিদ্দিক টিটু, সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস ও এইচ.এম আল-আমিন আহমেদের লাগানো কিছু নির্বাচনী ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন।
Advertisement
ওই তিন প্রার্থী গত শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে হাবিবুর রহমান স্টিফেন একজন ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ ও তিনি যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আযমের আত্মীয় এবং তার সম্পদ দেখাশোনা করেন বলে অভিযোগ তোলেন।
তবে ওই তিন প্রার্থীর সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন হাবিবুর রহমান স্টিফেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে স্টিফেন নিজেই এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন, একই গ্রামে বাড়ি হওয়ায় কেউ কারো আত্মীয় হয়ে যান তা আমার জানা ছিল না। গোলাম আযমের জীবদ্দশায় এবং আমি রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আগে ও পরে তার সঙ্গে আমার কোনো প্রকার যোগাযোগ ছিল না।
Advertisement
সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তিনি আরও বলেন, কোনো সাংবাদিক সরেজমিন তদন্ত করলে জানতে পারবেন আমি চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে কতটা সক্রিয় ও সরব ছিলাম। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমান আপন খালাতো বোন ও ভগ্নিপতি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের আত্মীয় হওয়ায় তাকে বহুবার অত্যাচার-নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় মনোনয়ন বঞ্চিত ওই তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের পাশাপাশি নানা অভিযোগ তোলেন হাবিবুর রহমান স্টিফেন।
সংবাদ সম্মেলনে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজিত কুমার দেব, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন নসু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহানসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/আরআইপি
Advertisement