বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের (নীল প্যানেল) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বার কাউন্সিল নিবার্চন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। অবশেষে নির্বাচন হচ্ছে। এটাই বড় কথা। তিনি বলেন, ‘আইনজীবীরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন। তারা জাতীয়তাবাদী প্যানেলকে ভোট দিচ্ছেন।’সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বুধবার দুপুরে এক প্রতিক্রিয়ায় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
Advertisement
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। এইভাবে শেষ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হলে এবং ভোট গণনায় সুষ্ঠুভাবে হলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
বুধবার সকাল ১০টায় সারাদেশের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রেও শুরু হয় ভোটগ্রহণ।মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা বিরতির পর একটানা ৫ টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ঢাকা বার ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার আমেজ দেখা যায়। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প তৈরি করে নিজ নিজ সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালনা আইনজীবীরা।
এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দেশের ৪৩ হাজারের বেশি আইনজীবী সদস্য। দেশের জেলা সদরের সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভোটকেন্দ্র এবং বাজিতপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাঙ্গা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছাসহ দেশের ১২ উপজেলা পর্যায়ের দেওয়ানি আদালত অঙ্গণের ভোটকেন্দ্র থেকেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের খবর আসছে।
Advertisement
আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক ভোটারকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট দেখিয়ে ভোট দিতে হচ্ছে। নির্বাচনে চারটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তবে নির্বাচনে সরকার সমর্থিত ও আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল), জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল প্যানেল), আইনজীবী ঐক্য ফ্রন্ট (গোলাপী প্যানেল) অপর একটি প্যানেলের নাম আইনজীবী ঐক্য পরিষদ।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আর ১৪ জন আইনজীবী সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
এফএইচ/এসএইচএস
Advertisement