আইন-আদালত

৫৭ ধারা চ্যলেঞ্জ করে রিট

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭  ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন দায়ের করেছেন সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী।বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির জনৈক জাকির হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।রিটে আইন সচিব ও তথ্য যোগাযোগ সচিব ও প্রযুক্তি সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির।তিনি সাংবাদিকদের জানান, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ কারাদণ্ড ১৪ বছর ও ১ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। অথচ একই অভিযোগে পর্নগ্রাফি আইনে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। এটি সরাসরি বৈষম্য।তিনি বলেন, আইসিটি অ্যাক্ট-এর ৫৭ ধারাটি সংবিধানের ২৭,৩১,৩২ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক হওয়ায় ধারাটি চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে।তিনি বলেন, এই আইনটি অপব্যাবহার করা হচ্ছে। যার উদাহরণ সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করা। তাই সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।শিশির মনির বলেন, ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের চোখে সকলে সমান এবং ৩৯ অনুচ্ছেদে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। ৫৭ ধারাটি এর সাথে সাংঘর্ষিক।ওই আইনের ৫৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্যকোনো ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।’(২) ‘কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

Advertisement

এর আগে সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের সংশোধনী ২০১৩ এর  দুটি  ধারা বাতিল করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট্রদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। বুধবার  সকালে আইনজীবী ড. ইউনূস আলী আকন্দ রেজেস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নোটিশে সরকারের মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব এবং তথ্য সচিবকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের দুটি ধারা বাতিল করার জন্য বলা হয়েছে। যদি  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে  পদক্ষেপ গ্রহণ করা না  হয় তাহলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। এফএইচ/এএইচ

Advertisement