জাতীয়

উচ্ছেদ অভিযান গতিশীলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে

ঢাকার চারপাশের নদীর তীরভূমি দখল ও দূষণরোধে বিআইডব্লিউটিএ, সিটি কর্পোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা ওয়াসা, পরিবেশ অধিদফতর, নৌ-পরিবহন অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। রোববার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দখল ও দূষণ প্রতিরোধকল্পে চলমান উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Advertisement

জানানো হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১০ থেকে ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের তীরভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ১২ হাজার ৮৬৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৫২১.৬২ একর তীরভূমি দখলমুক্ত করেছে।

ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ২৯ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ১ হাজার ১৯৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ১০ একর তীরভূমি উদ্ধার করেছে।

সভায় জানানো হয়, নদী তীর যেন অবৈধভাবে দখল হয়ে না যায় সেজন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গি নদীবন্দর এলাকায় ৯ হাজার ৫৭৭টি সীমানা পিলার স্থাপন করেছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৪,০৬৩টি, নারায়ণগঞ্জে ৫,০১১টি ও টঙ্গীতে ৫০৩টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। সভায় আরও জানানো, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪৬টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে শিগগিরই বৈঠক করা হবে। ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথে ১৩টি নিচু ব্রিজ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মো. আফজাল, বিআইডব্লিউটি-এর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

Advertisement

এইউএ/এমআরএম/পিআর