ক্রিকেটে বাংলাদেশ-ভারত লড়াই মানেই এখন অন্যরকম উত্তেজনা। আর সেই লড়াইটা যদি হয় বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টে, তবে তো কথাই নেই! গত তিন ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রতিবারই কোনো না কোনোভাবে ভারতের সামনে পড়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যদিও এবার লড়াইটা হবে মূল আসরের আগে, প্রস্তুতিপর্বে।
Advertisement
প্রথমবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হয় ২০০৭ সালে। প্রথম দেখাতেই শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে দেয় টাইগাররা। যে হারের কারণে ওই আসরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় হয়ে গিয়েছিল দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের।
এরপর ২০১১ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপেও ভারতের সঙ্গে দেখা হয়েছে বাংলাদেশের। দুইবারই অবশ্য ভারত জিতেছে। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে এখনও বিতর্ক আছে।
এবার আরেকটি বিশ্বকাপে মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ। তার আগে আসুন দেখে নেয়া যাক বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান।
Advertisement
ফল
২০০৭ : বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী, ম্যাচসেরা মাশরাফি বিন মর্তুজা২০১১ : ভারত ৮৭ রানে জয়ী, ম্যাচসেরা বীরেন্দ্রর শেবাগ ২০১৫ : ভারত ১০৯ রানে জয়ী, ম্যাচসেরা রোহিত শর্মা
ব্যাটিং
৩৭০/৪ : ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের করা এই সংগ্রহই বিশ্বকাপে দুই দলের সর্বোচ্চ১৯১/১০ : ২০০৭ সালে ভারতের এই সংগ্রহই বিশ্বকাপে দুই দলের সর্বনিন্ম
Advertisement
১৭৭ : বীরেন্দ্রর শেবাগের করা এই রানই দুই দলের কোনো ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ১৭৫ : ২০১১ বিশ্বকাপে করা শেবাগের এই ইনিংসটিই বিশ্বকাপে দুই দলের মধ্যে কোনো ব্যাটসম্যানের সেরা
৩ : বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা। সেঞ্চুরি তিনটি করেন শেবাগ (২০১১ সালে ১৭৫ রান), বিরাট কোহলি (২০১১ সালে ১০০) এবং রোহিত শর্মা (২০১৫ সালে ১৩৭)।
৭ : বিশ্বকাপে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মোট হাফসেঞ্চুরির সংখ্যা।
বোলিং
৬ উইকেট : মুনাফ প্যাটেলের নেয়া ৬ উইকেট বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ।৪/৩৮ : ২০০৭ বিশ্বকাপ মাশরাফি বিন মর্তুজার এই বোলিং ফিগার দুই দলের মধ্যে সেরা।
উইকেটকিপিং
৮ : মহেন্দ্র সিং ধোনির করা ৮ ডিসমিসাল সর্বোচ্চ।৪ : ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ধোনির করা ৪ ডিসমিসালই এক ম্যাচের সেরা।
ফিল্ডিং
২ : আবদুর রাজ্জাক, আফতাব আহমেদ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং মোহাম্মদ শামি বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ লড়াইয়ে ২টি করে ক্যাচ নিয়েছেন। ২ ক্যাচই বিশ্বকাপে দুই দলের লড়াইয়ে কোনো ফিল্ডারের সর্বোচ্চ।
এমএমআর/এমকেএইচ