বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সুমন হালদার (৪০) নামের এক যুবককে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে এসেছে। এ ঘটনায় পাওনাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
সুমন হালদারকে নির্যাতনের অভিযোগে তার স্ত্রী বিথী রানি হালদার উজিরপুর থানায় মামলা করলে পাওনাদার শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে শহিদুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। নির্যাতনের শিকার সুমন হালদার উপজেলার বড়াকোঠা গ্রামের শিশু কুমার হালদারের ছেলে। গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দক্ষিণ কাংশী গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর ছেলে।
সুমনের স্বজনরা জানান, ৩ বছর আগে বিদেশ যাওয়ার জন্য সুমন হালদারকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছিল শহিদুল ইসলাম। সুমন হালদার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। তবে সুদ বাবদ আরো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে আসছিল শহিদুল ইসলাম।
Advertisement
ওই টাকার দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সুমন হালদারকে ইচলাদী এলাকা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে পায়ে শিকল দিয়ে খাটের পায়ার সঙ্গে তালা মেরে নিজ ঘরে বেঁধে নির্যাতন চালায় শহিদুল ইসলাম। সুমনের স্বজনরা বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিনই পুলিশ নিয়ে গিয়ে শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে পায়ে শিকল দিয়ে বাধা অস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে।
শহিদুল ইসলাম জানান, বিদেশ পাঠানোর কথা বলে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিল সুমন। ৩ বছর পর্যন্ত বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ঘুরাতে থাকে। টাকা চাইলে নানা টালবাহানা করছিল। টাকা আদায়ের জন্য তাকে ভয় দেখানো হয়েছে। মারধর করা হয়নি।
উজিরপুর থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, সুমনকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী বিথী রানি হালদার মামলা করলে গ্রেফতার করা হয় শহিদুল ইসলামকে। শহিদুলকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাইফ আমীন
Advertisement