টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে দেখা গিয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের আধিপত্য। সে অর্থে ব্যাট হাতে কারিশমা দেখাতে পারেননি স্থানীয় ক্রিকেটাররা। তাই টুর্নামেন্ট শেষে এসেও দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা পাঁচজনের তিনজনই বিদেশি। দেশি ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হয়ে শীর্ষ পাঁচে রয়েছেন মুশফিকুর রহীম এবং তামিম ইকবাল।
Advertisement
রাউন্ড রবিন লিগেই ব্যাট হাতে বিপিএলের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছিলেন রংপুর রাইডার্সের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রিলে রুশো। ২০১২ সালের বিপিএলের প্রথম আসরে পাকিস্তানি আহমেদ শেহজাদের করা ৪৮৬ রানের রেকর্ড ভেঙে রুশো থেমেছেন ৫৫৮ রান করে।
ফাইনালের আগপর্যন্ত তার স্ট্রাইকরেট ছিলো মাত্র ১১৩, গড়টাও সাদামাটা ২৭.১৬! তবে তিনি যেনো সবকিছু জমিয়ে রেখেছিলেন বিগ ফাইনালের জন্য। অবশ্য রাখারই কথা। বিপিএলের ছয় আসরের ইতিহাসে এবারই যে প্রথম খেলছেন ফাইনালে।ফাইনাল ম্যাচে রেকর্ডগড়া ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তামিম ইকবাল টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ৪৬৭ রানে।
চলতি আসরে চারশো রানের কোটা পেরিয়েছেন মুশফিকুর রহীমও। এলিমিনেটর ম্যাচ হেরে বাদ পড়ার আগে ৩ ফিফটি ও ৩৫ গড়ে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসে ৪২৬ রান। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় পরের নাম দুইটি দুই বিদেশির। সিলেট সিক্সার্সের উইন্ডিজ তারকা নিকলাস পুরান করেছেন ৩৭৯ রান এবং আসরে প্রথম সেঞ্চুরি করা রাজশাহী কিংসের লরি ইভান্সের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩৯ রান।
Advertisement
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকা
১/ রিলে রুশো : ম্যাচ - ১৪; ইনিংস - ১৩; রান - ৫৫৮; গড় - ৬৯.৭৫ স্ট্রাইকরেট - ১৫০.০০ সর্বোচ্চ - ১০০*২/ তামিম ইকবাল : ম্যাচ - ১৪; ইনিংস - ১৪; রান - ৪৬৭; গড় - ৩৮.৯১; স্ট্রাইকরেট - ১৩৩.৮১; সর্বোচ্চ - ১৪১*৩/ মুশফিকুর রহীম : ম্যাচ - ১৩; ইনিংস - ১৩; রান -৪২৬; গড় - ৩৫.৫০; স্ট্রাইকরেট - ১৩৯.২১ সর্বোচ্চ - ৭৫ ৪/ নিকলাস পুরান : ম্যাচ - ১১; ইনিংস - ১১; রান - ৩৭৯; গড় - ৪৭.৩৭; স্ট্রাইকরেট - ১৫৯.২১; সর্বোচ্চ - ৭৬*৫/ লরি ইভানস : ম্যাচ - ১১; ইনিংস - ১১; রান - ৩৩৯; গড় - ৩৭.৬৬; স্ট্রাইকরেট - ১৩৭.৮০; সর্বোচ্চ - ১০৪*
এসএএস/এমআরএম
Advertisement