গাজীপুরে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
Advertisement
গ্রেফতার পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার এএসআই মুসরাফিকুর রহমান।
পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার জানান, অভিযুক্ত দুই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধের কোনো দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ নেবে না। অপরাধ করলে কেউ ছাড় পাবে না। অপরাধ করলে এটি তাদের ব্যক্তিগত দায়ভার হিসেবে নিতে হবে।
জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে পাঁচ বন্ধু রায়হান সরকার, নওশাদ ইসলাম, লাবিব উদ্দিন, তরিবুল্লাহ ও রাকিবুল রহমান প্রাইভেটকার যোগে ঢাকায় বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় শিলা-বৃষ্টি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তিন বন্ধু রায়হান সরকার, লাবিব উদ্দিন ও নওশাদ ইসলামকে জোড়পূর্বক একটি হাইয়েচ মাইক্রোবাসে তুলে মির্জাপুরের দিকে নিয়ে যায় কালিয়াকৈর থানার এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার এএসআই মুসরাফিকুরসহ ৬-৭ জন লোক। এ সময় তাদের অপর দুই বন্ধু তরিবুল্লাহ ও রাকিবুল রহমান পাশে চা খেতে গিয়ে রক্ষা পান।
Advertisement
পুলিশ তিন যুবককে টঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার দেওড়া এলাকায় নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের নিচে নিয়ে যায় এবং তাদের মুক্তির জন্য ৩০ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, তরিবুল্লাহ ও রাকিবুল রহমানের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিষয়টি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে দুই থানার সহযোগিতায় অপহৃত তিন যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বৃহস্পতিবার এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মুসরাফিকুর রহমানকে প্রত্যাহার করে নিজ নিজ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন অপহরণের শিকার রায়হান সরকার।
আমিনুল ইসলাম/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement