অর্থনীতি

পতনের বাজারেও মূলধন বেড়েছে ডিএসইর

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হলেও সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার ওপরে। তবে প্রধান মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

Advertisement

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে দশমিক ১৬ শতাংশ। আর লেনদেন কমেছে ২০ শতাংশেরও বেশি। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এরপরও ডিএসইর বাজার মূলধান বেড়েছে এক শতাংশের বেশি।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে বৃহস্পতিবার

ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা।

Advertisement

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১২৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচকের পতন হলেও বেড়েছে অপর দুটি সূচক। এর মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৪১ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ১২ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১১ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১২৪টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির দাম।

Advertisement

এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮২৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ১১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৫ হাজার ১৭১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৭ দশমিক ৩৯ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি শেয়ারের মধ্যে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির, ১ দশমিক ৯২ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির এবং দশমিক ৯০ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩১৬ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ৯৫ কোটি ৬২ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- গ্রামীণফোন, প্রিমিয়ার ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, সিঙ্গার বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।

এমএএস/এমএমজেড/এমকেএইচ