সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন আইন নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। আর নতুন আইন চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপের সে দেশে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
Advertisement
হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম বড় বাজার ভারত। এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৫০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তার মধ্যে ২০ কোটি ব্যবহারকারীই ভারতের।
হোয়াটসঅ্যাপের কর্মকর্তা কার্ল উগ নয়াদিল্লিতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত ওই বিধিনিষেধে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে, বার্তার উৎস জানার উপরে। এদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’-কে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। যার অর্থ প্রেরক ও গ্রাহক ছাড়া কোনও তৃতীয় ব্যক্তি সেই বার্তাটি দেখতে পারেন না। পুরো পৃথিবী ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষাকে আরও জোরাল করতে চাইছে। ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণে থাকা হোয়াটসঅ্যাপও সেই নিয়মই মেনে চলছে।
হোয়াটসঅ্যাপকে যদি নতুন আইন মেনে ভারতে ব্যবসা করতে হয়, তবে সম্পূর্ণ নিয়মনীতি বদলাতে হবে। আর তা কার্যত কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে। ফলে নতুন আইন বলবৎ হলে ভারতীয় বাজার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে হতে পারে বলেই আশঙ্কা হোয়াটসঅ্যাপ কর্মকর্তাদের।
Advertisement
সামাজিক মাধ্যমে গুজব ও ভুয়া খবর ছড়ানো এবং তার জের ধরে অশান্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বিগ্ন সরকার। বিষয়টি রুখতে নতুন আইন বলবৎ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে প্রাদেশিক ভাষায় ভুয়া খবর প্রচার রুখতে পুরো সামাজিক মাধ্যম জুড়েই কড়া হয়েছে সরকার। ফেসবুকেও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার ক্ষেত্রে প্রথমেই বিধিসম্মত সতর্কীকরণ দিয়ে বিষয় ও বিজ্ঞাপনদাতা সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
টিটিএন/এমএস