দেশজুড়ে

সব আবর্জনা পরিষ্কার করে দিলেন পুলিশের এসআই

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ফুটওভার ব্রিজ পরিষ্কার করলেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।

Advertisement

নিজের হাতে কোদাল নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ পরিষ্কার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। একই সঙ্গে গণসচেনতার জন্য বিভিন্ন স্লোগানে ফুটওভার ব্রিজের নিচে ফেস্টুন লাগিয়ে দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দুইজন পুলিশ সদস্য ও কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীকে সঙ্গে নিয়ে এই ফুটওভার ব্রিজ পরিষ্কার করেন এসআই আবুল কালাম আজাদ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ব্যস্ততম মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এলাকাবাসী দাবির প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের শেষের দিকে এই স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

Advertisement

ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকে হকার ও ভিক্ষুকের দখলে চলে যায়। ফলে পথচারীরা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল শুরু করে। সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়ক দিয়ে জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে তারের দেয়াল নির্মাণ করে দেয়। এতে পথচারীরা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে বাধ্য হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ফল ব্যবসায়ী জামান ও স্থানীয় দোকানদান ফজলুল হক বলেন, সোনারগাঁ থানা পুলিশের এসআই আজাদ নিজ হাতে ঝাড়ু, বেলচা, কোদাল ও বালুর বস্তা কিনে এনে স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় ফুটওভার ব্রিজ পরিষ্কার শুরু করেন। দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ব্রিজ পরিষ্কার করেন তিনি। পরে মহাসড়কের তারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে মানুষ যাতে চলাফেরা করতে না পারে সেজন্য নতুন বেড়া দিয়ে ছিদ্র বন্ধ করে দেন এবং জনসচেতনামূলক ফেস্টুন লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পথচারীরা তারের দেয়াল টপকে রাস্তা পারাপার হন প্রতিদিন। তাই ওই এলাকার ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন স্লোগানে ফেস্টুন লাগিয়ে দেই। সেই সঙ্গে দেয়াল টপকে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেই।

তিনি বলেন, হকার আর ধুলাবালিতে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় পথচারীদের। ধুলার জন্য ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে চলার সময় অনেকে পা পিছলে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। তাই বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সদস্য, কয়েকজন মিডিয়াকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ফুটওভার ব্রিজের দুই পাশ পরিষ্কার করে দেয়া হয়। এখন থেকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে পারবেন পথচারীরা।

Advertisement

মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/পিআর