২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুইদিন। মেলার পর্দা নামার সময় যেন ঘনিয়ে আসছে। তাই ঘোরাঘুরির পাশাপাশি শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। অন্যদিকে দোকানিদের মধ্যে বয়েছে মালামাল শেষ করার তাড়া। তাই তারা তুলনামূলক অল্প লাভেও মালামাল বিক্রি করে দিচ্ছেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলা ঘুরে দেখা যায়, লাইন ধরে মানুষ মেলায় প্রবেশ করছেন। শুক্র ও শনিবারের তুলনায় কম হলেও যথেষ্ট ভিড় দর্শনার্থীদের।
ঘোরাঘুরির পাশাপাশি মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কেনাকাটার প্রতিও আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। যারা মেলায় ঘুরছেন, তাদের অনেকের হাতেই মেলা থেকে কেনা পণ্যের ব্যাগ দেখা যায়।
এদিন বিকেলে বাণিজ্য মেলা থেকে মেলামাইনের জিনিসপত্র কেনেন একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘মেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই এলাম। মেলা ঘুরে দেখলাম। আর অনেকগুলো জিনিস দেখে কিছু কেনার সুযোগ আছে এখানে। তাই কিছু মেলামাইনের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনলাম।’
Advertisement
তবে দোকানিদের একটা অংশের দাবি, শেষ সময়ে এসেও মেলায় প্রত্যাশিত বেচাকেনা হচ্ছে না।
মেলার থাই গ্যালারির ম্যানেজার মো. সজল জাগো নিউজের কাছে দাবি করেন, ‘শেষ সময়ে এসেও বেচাকেনার অবস্থা খারাপ। সকালে মেলা একদম ফাঁকা ছিল, এখন তো কিছু মানুষ দেখা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মেলা যথাসময়ে শুরু না হওয়া এর অন্যতম কারণ। তাছাড়া বাণিজ্য মেলার মতো আরেকটি বড় মেলা শুরু হয়েছে বাংলা একাডেমিতে, বইমেলা। সেখানেও অনেক মানুষ যাচ্ছেন। আর এসএসসি পরীক্ষা চলছে। এই সবকিছুরই একটা প্রভাব পড়েছে কম বেচাকেনার পেছনে।’
ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কনকা প্যাভিলিয়নের সেলস এক্সিকিউটিভ মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বাইরে মানুষ আছে, ভেতরে তো মানুষ নাই। তাইলে বেচাকেনা বাড়ব কীভাবে? মেলার পুরো সময় ধরেই প্রায় একই রকমের বেচাকেনা ছিল। মেলার শেষ সময়ে এসেও খুব একটা বেচাকেনা বাড়েনি।’
Advertisement
তবে মিস্টার নুডলস প্যাভিলিয়ন থেকে জানানো হয়, তাদের বেচাকেনা ভালো। মানুষজন মিস্টার নুডলস বেশ কিনছেন।
পিডি/এমবিআর/পিআর