বিএনপি এখন কোনো ইস্যুতে আন্দোলনের ডাক দিলে জনগণের সাড়া পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘কারণ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের জন্য দেশে-বিদেশে তারা ইমেজ সংকটে রয়েছে। তাদের এখন প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে ইমেজ সংকট দূর করা। ইমেজ সংকট কাটিয়ে না উঠলে জনগণ তাদের আন্দোলনের ডাকে সাড়া দেবে না। কালো ব্যাচ, কালো পতাকা এবং মানববন্ধনের ডাক দেবে কিন্তু এতে কোনো সাড়া পাওয়া যাবে না। এসব নিয়েই তাদের থাকতে হবে।’
উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূল থেকে যোগ্য প্রার্থীদের নাম আসছে না-এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে যে সব অভিযোগ এসেছে তা আমরা খতিয়ে দেখব। মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলের রিপোর্ট ছাড়াও তিনটি সংস্থার সার্ভে রিপোর্ট থাকবে, সেগুলো আমরা মিলিয়ে দেখব।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘অকারণে ক্ষোভ হলেতো হবে না। জোর করেতো আমরা মনোনয়ন দিব না।’
বিপুল সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কিনা- সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কি একদলীয় স্বৈরাচারী পার্টি নাকি? আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেতো গণতন্ত্রের চর্চা রয়েছে। প্রার্থী যতবেশি হবে তত অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চাটা বিকশিত হবে। এতে বহুমতের প্রকাশ ঘটবে। গণতন্ত্রের ভিত আরও শক্তিশালী হবে। এ মুহূর্তে বহু প্রার্থী নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নাই। কারণ আমরা প্রার্থিতা ওপেন করে দিয়েছি। সবাই প্রার্থী হতে পারবে। দেয়া না দেয়া সেটা দলের সিদ্ধান্ত। কিন্তু চাওয়ার অধিকার থেকে আমরা তাদের বঞ্চিত করতে পারি না। মনোনয়ন বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে, সেই সিদ্ধান্ত কারা মানছে, কারা মানছে না সেটাই হলো দেখার বিষয়।’
মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মেলনের আগেই যে সব সংগঠন সম্মেলন করেনি তাদের সম্মেলন হয়ে যাবে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচিতে সিনিয়র নেতাদের অনুপস্থিতি কি ভাঙনের সুর কিনা- এর জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনীতি যখন সংকটে তখন যে নেতাদের ঝুঁকি নেয়ার সাহস নাই তারা কোনো দিনও দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। এ দলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
Advertisement
উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কতটি ফরম বিক্রি হয়েছে- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ওপেন করে দিয়েছি, কত হয় এখনতো বলতে পারছি না। গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি পৌনে তিন কোটি টাকার ফরম বিক্রি হয়েছে। মনোনয়ন বোর্ড বসার আগেই পুরো হিসাবই আপনাদের জানাব। বিক্রি ও জমা দেয়ার সময় আর বাড়ানোর সম্ভাবনা নাই। তবে হয়তো মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যদি সময় বেশি লাগে সেই বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নিব।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
এইউএ/এনডিএস/পিআর