আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ইনিংসে দশ উইকেটের সবকয়টি এক বোলারের নেয়ার কীর্তি রয়েছে মাত্র দুইটি। প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে এক ইনিংসে দশ উইকেট তথা ‘দশে দশ’ শিকার করার সবশেষ রেকর্ডটি হয়েছে আজ থেকে ঠিক ২০ বছর আগে, ১৯৯৯ সালের আজকের তারিখেই।
Advertisement
পাকিস্তানের বিপক্ষে দিল্লি টেস্টে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় এবং সবশেষ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন ভারতের কিংবদন্তি লেগস্পিনার অনিল কুম্বলে। তার করা ১৮.৩ ওভারের এক স্পেলেই ১০ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান।
সে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ২৫২ রানে অলআউট হয় ভারত। জবাবে অনিল কুম্বলে ৪ উইকেট নিলে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৭২ রানে। ৮০ রানে এগিয়ে থেকে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে আসে আরও ৩৩৯ রান। পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২০ রানের।
রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১০১ রান করে ফেলেন শহীদ আফ্রিদি এবং সাঈদ আনোয়ার। জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকা পাকিস্তান শিবির তখনো জানতো না যে একটু পরই অপেক্ষা করছে কুম্বলে নামক স্পিন জাদুকর। যে জাদুতে একে একে বশীভূত হয় পাকিস্তানের সব ব্যাটসম্যান।
Advertisement
ইনিংসের ২৫তম ওভারে শহীদ আফ্রিদিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন অনিল কুম্বলে। এই উইকেট দিয়েই শুরু হয় কুম্বলের স্বপ্নীল স্পেল। যেখানে একে একে ধরা পড়েন ইজাজ আহমেদ, ইনজামাম উল হক, মোহাম্মদ ইউসুফ, মঈন খান এবং সাঈদ আনোয়ার।
বিনা উইকেটে ১০১ থেকে ৬ উইকেটে ১২৮ রানের দলে পরিণত হয় পাকিস্তান। সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়েন সেলিম মালিক। প্রতিরোধ গড়া এ জুটিটিও ভাঙেন কুম্বলে। ফিরিয়ে দেন বাকি চার ব্যাটসম্যান সেলিম মালিক, মুশতাক আহমেদ, সাকলাইন মুশতাক এবং ওয়াসিম আকরামকে।
৪২০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ভারত পায় ২১২ রানের বিশাল জয়। সে ইনিংসে কুম্বলের স্পেল ছিলো ২৬.৩-৯-৭৪-১০। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ এবং প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেও এক ইনিংসেও ওয়াকার ইউনুসকে আউট করতে পারেননি কুম্বলে। কারণ দুই ইনিংসেই অপরাজিত ছিলেন ওয়াকার।
১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে কুম্বলে এ কীর্তি গড়ার ৪৩ বছর আগেই এটি করে দেখান ইংল্যান্ডের অফস্পিনার জিম লেকার। তিনি দুই ইনিংস মিলে নেন ১৯টি উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে ৯ উইকেট নেয়ার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫৩ রানে ১০টি উইকেট।
Advertisement
এসএএস/জেআইএম