খেলাধুলা

ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনার শীর্ষে সালাউদ্দিনকে দেয়া দুদকের নোটিশ

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. আবু হোসেনকে দেয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া নোটিশের বিষয়টি এখন ফুটবল অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। দুদক সপ্তাহখানেক আগে বাফুফের এই তিন কর্মকর্তাকে নোটিশ করে তাদের চাহিদামতো কাগজপত্র জমা দিতে বলেছে। ঘটনা জানাজানি হয়েছে মঙ্গলবার।

Advertisement

বুধবার ফুটবল অঙ্গনেই নয়, পুরো ক্রীড়াঙ্গনেই দুদকের এ নোটিশ ছিল আলোচনার প্রধান বিষয়। অনেকের মতে, বাফুফের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে দেশের ফুটবলে একটা ধাক্কাই লাগলো। যদিও বাফুফে এ অভিযোগ নিয়ে তেমন চিন্তিত নয়। সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘দুদক যে কাগজপত্র চেয়েছে তা প্রস্তুত করছি। নির্ধারিত সময়েই জমা দেব।’

অভিযোগ পেয়ে দুদক তদন্তে নেমেছে। তদন্ত শেষেই জানা যাবে বাফুফে সভাপতি ও অন্য দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যতা। তবে আপতত এ অভিযোগ ফুটবল কর্মকর্তাদের জন্য বিব্রতকর একটা পরিস্থিতি।

বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায় অনেক আগেই বলেছেন, এ সংস্থাটি এখন দুর্নীতির আখড়া। এ নিয়ে তাকে নির্বাহী কমিটির সভায় ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে। অভিযোগ দুদক পর্যন্ত যাওয়ায় ফুটবল অঙ্গনের মানুষ নানা রকম হিসেব মেলানোর চেষ্টা করছে। বাফুফে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করছেন না।

Advertisement

বুধবার বাফুফে ভবনে গণমাধ্যমকর্মীরা সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ‘আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গোছাচ্ছি। সময়মতো দুদকে জমা দেব’-এর বেশি বলতে নারাজ বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।

সময়মতো বলতে বৃহস্পতিবারই বোঝায়। কারণ, দুদকের বেধে দেয়া সময় শেষ হবে এই দিন। কিন্তু বাফুফের একটি সূত্র বলেছে, আগামী রোববার কিংবা সোমবার তারা দুদকে কাগজপত্র জমা দিতে পারেন। কাজী সালাউদ্দিন বাফুফের সভাপতি ২০০৮ সাল থেকে। এই দীর্ঘ সময়ের কাগজপত্র তৈরি করতে সময়ের প্রয়োজন।

বাফুফেকে দুদকের নোটিশ অবশ্য নতুন নয়। এর আগে জাতীয় দলের সাবেক ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের বেতন ও তার সঙ্গে বাফুফের কী চুক্তি ছিল, তার এ নিয়েও দুদক চিঠি দিয়েছিল। তবে এবারের বিষয়টি আলাদা। এখানে দুদক দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে।

এ নোটিশে কেবল অভিযুক্ত তিনজনের ব্যক্তি তথ্যই নয়, তাদের ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের উৎসও চেয়েছে দুদক। সবকিছু মিলিয়ে জটিল অবস্থার মধ্যে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এবং অন্য দুই কর্মকর্তা।

Advertisement

আরআই/এমএমআর/বিএ