খেলাধুলা

রংপুরকে ১৪২ রানেই আটকে দিয়েছে ঢাকা

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ, ফাইনালে উঠার লড়াই। যে লড়াইয়ে হারলেই বাদ। এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১৪২ রানেই গুটিয়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের ইনিংস। অর্থাৎ জিততে হলে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসকে করতে হবে ১৪৩ রান।

Advertisement

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চমক রংপুর রাইডার্সের। ওপেনিংয়ে ক্রিস গেইলের সঙ্গে চলে আসেন এবারের বিপিএলে এক ম্যাচও না খেলা নাদিফ চৌধুরী। যে চমকের জন্য নাদিফকে ওপেনিংয়ে আনা, সেটিতে তিনি সফলই বলতে হবে।

মাত্র ১২ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ২৭ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে শুভাগতহোমের শিকার হন নাদিফ। ওই ওভারেই শুভাগতকে টানা তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন মানিকগঞ্জের এই ক্রিকেটার।

পরের ওভারে জোড়া ধাক্কা রুবেল হোসেনের। ওভারের প্রথম বলে তিনি তুলে নেন খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসতে থাকা গেইলকে। ১৩ বলে ২ ছক্কায় ১৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব। পরের বলে ধারাবাহিকতার প্রতিমূর্তি রাইলি রুশোকে (০) পোলার্ডের ক্যাচ বানান রুবেল। ৪২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে রংপুর।

Advertisement

চতুর্থ উইকেটে রবি বোপারাকে নিয়ে ৬৪ রানের জুটিতে সে বিপদ সামলে উঠেন মোহাম্মদ মিঠুন। কাজী অনিকের দুর্দান্ত সুইংয়ে উইকেটরক্ষক সোহানের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৭ বলে ২টি করে চার ছক্কায় মিঠুন খেলেন ৩৮ রানের এক ইনিংস।

এরপর বেনি হাওয়েল (৩), মাশরাফি (০), নাহিদুল ইসলাম (৪), ফরহাদ রেজারা (২) দলের জন্য কিছু করতে পারেননি। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন রবি বোপারা। ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে তিনি আউট হন ৪৯ রানে (৪৩ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায়), সেখানেই থামে রংপুর।

ঢাকার পক্ষে সবচেয়ে সফল রুবেল হোসেন। ২৩ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন তিনি। ২টি করে উইকেট নেন কাজী অনিক আর আন্দ্রে রাসেল।

এমএমআর/এমএস

Advertisement