ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন পর্দা উঠেছে অমর একুশে বইমেলার। প্রতিটি দিন গড়াচ্ছে আর ভিড় বাড়ছে বইপ্রেমী পাঠক, লেখক, দর্শনার্থীর। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার আগেই এখানে ভিড় বেড়েছে বইপ্রেমীদের। কেউ বই কিনছেন কেউবা ঘুরে দেখছেন স্টল।
Advertisement
বইমেলায় দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই এসেছে দল বেঁধে। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব আবার কেউ পরিবার-পরিজন ও প্রিয় মানুষকে নিয়ে। শিশু, কিশোর-কিশোরী এসেছে তাদের মা-বাবার সঙ্গে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে প্রাণের মেলা, বইমেলা।
বুধবার সন্ধ্যায় অন্যদের মতো শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরাও ভিড় জমিয়েছে বই মেলায়। তাদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির বা সায়েন্স ফিকশন বইয়ে। সে অনুযায়ী আগে থেকে জেনে আসা বইয়ের নাম খুঁজছেন, হাতের কাছে পেলে কিনেও নিচ্ছেন তারা। প্রাণের এই বইমেলার প্রথম সপ্তাহ না গড়াতেই বইপ্রেমী ক্রেতা, দর্শনার্থীদের পদচারণায় সন্তোষ প্রকাশ করেন মেলার সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
বাবা আর মায়ের সঙ্গে বই মেলায় এসেছে আজীমপুর গার্লস স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নওশবা আক্তার জুঁই। বইমেলা ঘুরে ঘুরে সে সায়েন্স ফিকশন বই কিনেছে দুইটি। একটি মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘নিয়ন’ অপরটি খসরু চৌধুরীর ‘পৃথিবীর সেরা সায়েন্স ফিকশন গল্প’।
জুঁই জানায়, ছোটবেলা থেকেই সায়েন্স ফিকশন বই পড়তে ভালো লাগে। তাই বইমেলার শুরুতেই বই কিনতে এসেছি। বইমেলা চলাকালে আরও যেসব সাইন্স ফিফশন বই আসবে সেগুলোও কিনবো। আমার মতো বয়সীদের কাছে সায়েন্স ফিকশন বই খুবই জনপ্রিয়। তাই এমন বয়সের সবাই বই মেলায় আসলেই সায়েন্স ফিকশন বই কেনে।
বেসরকারি চাকরিজীবী জুঁইয়ের বাবা আহমদুল্লাহ বলেন, ‘আমার মেয়েটা সায়েন্স ফিকশন বই পড়ার পোকা। তার জেদেই আজ বইমেলায় এসেছি।’
যেসব স্টলগুলোতে সায়েন্স ফিকশন বই পাওয়া যাচ্ছে, সেসব স্টলে তরুণদের অনেক ভিড় বলে জানান এই অভিভাবক।
Advertisement
একটি জনপ্রিয় প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান আসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্টলে সায়েন্স ফিকশন বই পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে তরুণ-তরুণীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। তারা এসেই খুঁজছে এবার সায়েন্স ফিকশন কী কী আছে?’
বইমেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উভয় অংশের মূল প্রবেশপথে বৃহৎ এলইডি মনিটর স্থাপন করা হয়েছে। মেলার ম্যাপ, দিক-নির্দেশনা ও জরুরি তথ্য প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে। ফলে পাঠক-ক্রেতা মেলার বিন্যাস সম্পর্কে প্রথমেই ধারণা পাচ্ছেন এখান থেকে।
এএস/এসআর/এমকেএইচ