নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির কালো ব্যাজ ধারণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা এতো শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের এ পরাজয়ের কারণে তাদের কালো ব্যাজ ধারণ করা উচিত। এত বড় একটি রাজনৈতিক দল খুব কম কেন্দ্রে তারা এজেন্ট দিতে পেরেছে। এজেন্ট দেয়ার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। যারা কেন্দ্র পাহারা দেবে বলে নির্বাচনের আগে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে নির্বাচনের দিন তাদের ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন তারা এই শোচনীয় পরাজয়ের জন্য কালো ব্যাজ ধারণ করুক এতে করে তাদের নেতা-কর্মীরা এবং দেশবাসী জানতে পারবে তারা কেন কালো ব্যাজ ধারণ করেছে।
Advertisement
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং উপজেলায় ৩০ ডিসেম্বরের আদলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চায় নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন। তার (সিইসি) সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ কোথায়? জাতীয় নির্বাচন যেভাবে হয়েছে উপজেলা নির্বাচনেও সেভাবেই সিডিউল অনুযায়ী হবে। এতে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ নেই।
বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না এমন ঘোষণায় আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্ত করবে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উন্মুক্তই যদি করবো তাহলে এতো আয়োজন করে মনোনয়ন ফরম বিতরণ কেন? মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনের আগ পর্যন্ত আপনারা বলতে পারেন না কে অংশ নেবে আর কে নেবে না? শেষ মুহূর্তেও অনেকে সিদ্ধান্ত বদল করতে পারে। তাই মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা। দ্বন্দ্ব বলতে এটা বিদ্বেষপ্রসূত কোনো দ্বন্দ্ব নয়। খুব স্বাভাবিক কারণেই দলের ভেতরে সুস্থ একটা প্রতিযোগিতা হতেই পারে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে। তারপর দ্বন্দ্ব কি না সেটা বলা যাবে।
অনেক উপজেলায় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা নিজেদের লোক এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের নাম পাঠিয়েছেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা কী হবে? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখবো এখানে কার ভাই, কার বোন। এটা কোনো প্রশ্ন নয়..... জনগণের কাছে কার জনপ্রিয়তা কতটুকু, কে উইনেবল; কে ইলেকটেবল সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা উপজেলায় একটি বর্ধিত সভায় নাম নির্ধারণের জন্য বলেছিলাম। ওই বর্ধিত সভায় যদি কোনো আত্মীয়ের নাম চলে আসে তাহলে তো কিছু করার নেই। আত্মীয় পরিচয়ের কারণে কারও নাম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে চাপা পড়ে যাবে সেটা তো হতে পারে না।
এইউএ/এনএফ/এমএস