সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বই শুধু মানুষের জ্ঞানার্জনের বাহনই নয়, বরং এটি মানুষের সৃজনশীলতা ও প্রতিভাকে জাগ্রত করতে সহায়তা করে। আলোকিত নতুন প্রজন্ম গড়ার জন্য সবাইকে গ্রন্থাগারমুখী হতে হবে। সুতরাং, সময় পেলে বই পড়তে হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শওকত ওসমান মিলনায়তনে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর আয়োজিত জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যবিষয়ক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বর্তমান সরকার সারাদেশের উন্নয়ন তথা পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। এ উন্নয়ন তথা পরিবর্তন এক জায়গায় মিলিত হয়ে আমাদের (বাঙালির) আত্মপরিচয়ের বিকাশ ঘটাবে। সে জন্য দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন সংস্কৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়ন।
Advertisement
বইকে সংস্কৃতির আধার উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগারের উন্নয়নে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের চারটি প্রকল্প চলমান রয়েছে যেগুলোর কাজ ২০২০ সাল নাগাদ শেষ হবে। তাছাড়া গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের তিনটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। স্বাগত বক্তৃতা করেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এমইউ/বিএ
Advertisement