পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এদিকে জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি পয়েন্টে ধস দেখা দিয়েছে। এতে করে ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের কিশামত চেরেঙ্গা গ্রামে করতোয়া বাঁধের ২০ফিট অংশ ধসে যায়। এছাড়া উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের জাইতোর বালা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৫০ মিটার অংশে ধস দেখা দেয়। হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আশরাফ মন্ডল জানান, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে করতোয়ার একাধিক অংশে বাঁধ ধসে যেতে থাকে। স্থানীয়দের সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাশ্রমে ৪/৫দিন বাঁধটিকে টিকিয়ে রাখতে পারলেও দুপুরের পর তা ধসে যায়। কিশোরগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু জানান, করতোয়ার পানির চাপে জাইতোর বালা এলাকায় পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানান, জাইতোর বালা এলাকায় গত বছর থেকেই কিছু অংশ খোলা ছিল। সেখানেই পানি ঢুকে পড়ে। তবে ধস ও ভাঙন ঠেকাতে দুপুর থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সদর উপজেলার পুরাতন লক্ষ্মীপুর এলাকায় ঘাঘট নদীর ২০০মিটার এলাকা ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেখানেও কাজ চলছে। অমিত দাশ/এসএস/এমএস
Advertisement