জাতীয়

আবাসন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চান মন্ত্রী

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের আবাসন ব্যবস্থায় আমরা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাই। ঝিলমিল প্রকল্প, পূর্বাচল প্রকল্প, উত্তরা তৃতীয় ফেজ, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন হাউজিং প্রকল্প, উত্তরায় পরিকল্পনাধীন হাইরাইজ বিল্ডিং প্রকল্প- এসব ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এগিয়ে আসছেন। আমরা আরও কাজ করতে চাই।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার ১৮ নং সেক্টরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প পরিদর্শনকালে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উত্তরা তৃতীয় ফেজ হবে একটি আধুনিক নগর, যেটি দেখে মানুষ বিস্মিত হবে, বাংলাদেশের ভেতরে এত উন্নত ও পরিকল্পিত নগর কীভাবে সম্ভব। কারো কোনো গাফিলতি দৃশ্যমান হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দায়-দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিত বাসস্থান, পরিবেশসম্মত ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, বাংলাদেশের একটি মানুষও বাসস্থানের অভাবে থাকবে না, কোনো মানুষই যেন ভাসমান না থাকে। যারা ছিন্নমূল, তাদের জন্য প্রকল্প নেয়া হয়েছে, নির্মাণাধীন প্রকল্প রয়েছে এবং কোথাও কোথাও সম্পন্নও করা হয়েছে। অতীতের কোনো সরকার বস্তিবাসীদের জন্য সরকারিভাবে কোনো আবাসনের পরিকল্পনা নেয়নি, ভিক্ষুক থেকে শুরু করে বিশেষ পর্যায়ের মানুষের জন্য এত চমৎকার ব্যবস্থা যে, তারা স্বল্পমূল্যের ভাড়া দিয়ে সারাজীবন বিল্ডিংয়ে বসবাস করবে, সে পরিকল্পনা নিয়ে অনেক প্রকল্প নির্মাণাধীন রয়েছে, যেগুলো দ্রুতগতিতে শেষ করা হবে।

Advertisement

শহরের নাগরিক সুবিধাকে গ্রামে পৌঁছে দেয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল উল্লেখ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, সে অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নাগরিক সুবিধা শহরে যেটা আছে, তা গ্রামে পৌঁছে দেয়া হবে। গ্রামের মানুষকে বিদ্যুৎ, গ্যাস, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নাগরিকের প্রয়োজনীয় অন্যান্য দাফতরিক সুবিধা নিশ্চিত করে নগরের সুবিধা আমরা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।

‘গ্রামে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে, পানির সংযোগ থাকবে, গ্রামে আধুনিক বিপণিবিতান হবে। বিকেন্দ্রীকরণ করতে না পারলে মানুষের উপচেপড়া ভিড় শহরে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাবে, যে আর শৃঙ্খলা রক্ষা করা যাবে না’,- যোগ করেন তিনি।

বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, ডেসকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদ সারোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএস/জেডএ/জেআইএম

Advertisement