খেলাধুলা

‘ক্রীড়াঙ্গন স্টান্টবাজির জায়গা নয়’

‘ক্রীড়াঙ্গন স্টান্টবাজির জায়গা নয়। এখানে কিছু হলে তা দৃশ্যমান। অন্যকে সম্মানিত করেন, নিজে সম্মানিত হন’-কথাগুলো বলেছেন নড়াইল জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সভাপতি আশিকুর রহমান মিকু। মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভা শেষে তিনি এ কথা বলেছেন।

Advertisement

বাফুফে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এ সভাটি করেছে তাদের অন্যতম স্টেকহোল্ডার জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সভাপতিদের উপস্থিতিতে। তবে এ সভায় বাফুফে জেলার ফুটবল উন্নয়নে যে প্রস্তাবনা দিয়েছে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে তা তৈরিতে তাদের কোনো মতামত নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ডিএফএর সভাপতিরা।

আশিকুর রহমান মিকু বলেছেন, ‘সভার আলোচ্যসূচি দেখে মনে হয়েছে এখানে ডিএফএ হলো শ্রোতা আর ওনারা (বাফুফে কর্মকর্তারা) হলেন বক্তা। আসলে শ্রোতা-বক্তা প্রশ্ন নয় এখানে। ফুটবল এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, সার্বজনীন খেলা। এ খেলাকে ধরে রাখতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস দরকার।’

মাঠ সমস্যার সমাধান নিজেরা উল্লেখ করে এ ক্রীড়া সংগঠক বলেছেন, ‘ইতিপূর্বে মাঠ সমস্যা, অফিস সমস্যা, ডিএসএ-ডিএফএ সমস্যা নিয়ে বাফুফে-মন্ত্রণালয় অনেক সভা করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সার্কুলার দিয়েও মাঠ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। পারেনি ডিএসএ-ডিএফএ বিভেদ দূর করতেও। আমরা বারবার সভা করে একত্রিত হয়েছি। আমি বলবো আমরা ডিএসএ-ডিএফএর দূরত্ব ৯০ শতাংশ কমিয়ে এনেছি। যে লিগগুলো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে তা সম্ভব হয়েছে আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের কারণে।’

Advertisement

তাহলে এই সভার ফলাফল কী? জবাবে আশিকুর রহমান মিকু বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এ সভার মধ্যে দিয়ে বাফুফের বোধদয় হবে। ডিএফএ তাদের প্রধান এফেলিয়েটেড ইউনিট। ডিএফএকে বাদ দিয়ে, তৃণমূলকে বাদ দিয়ে এদেশের ফুটবল সমৃদ্ধ হতে পারে না। ফুটবল ফেডারেশন কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। এটা একটা জাতীয় ফেডারেশন। এ ফেডারেশনের আমরা সদস্য, ফুটবলকে এগিয়ে নিতে ডিএফএ’র সঙ্গে সম্মিলিত চেষ্টায় এগিয়ে নিতে হবে।’

সভায় কথা বলার সুযোগ ছিল না উল্লেখ করে আশিকুর রহমান মিকু বলেছেন, ‘আমাদের কথা বলার সুযোগ ছিল না। হাত তুলে কথা বলার সুযোগ করে নিতে হয়েছে। আমরা আমাদের সমস্যার কথা বলেছি। বর্তমান বাফুফের ভূমিকার কথা বলেছি। আমরা বলেছি, ‘তৃণমূল’ একটা চমকপ্রদ শব্দ। এ শব্দ অপব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ তারা কখনই তৃণমূলে যাওয়ার চেষ্টা করেনি। অর্থ বড় কথা নয়। একটা দিক নির্দেশনা তো দিতে পারতেন। তা দেননি।’

ডিএফএগুলোর জন্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া বরাদ্দের টাকা পুরোপুরি পায়নি অভিযোগ করে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠকদের অন্যতম এ নেতা বলেছেন, ‘ মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। সেই টাকা ডিএফএগুলো ঠিকমতো পায়নি। মাত্র ১ লাখ করে টাকা পেয়েছি। পাওয়ার কথা ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা করে।’

আরআই/এমএমআর/এমএস

Advertisement