দেশের সব বেসরকারি স্কুল ও কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে সরকারের নিষেধাজ্ঞা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মাহপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন >> ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতে নানা তদবির
একই সঙ্গে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের ওপর সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন আদালত। এ আদেশের ফলে ভিকারুননিসা নূনে অধ্যক্ষ নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
Advertisement
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের ওপর সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না।
আরও পড়ুন >> যোগদানের ৩ দিন পরই ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বহিষ্কার
Advertisement
একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি স্কুল ও কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে সরকারের নিষেধাজ্ঞা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক থেকে গত ৬ জানুয়ারি দেশের সব বেসরকারি স্কুল ও কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
আরও পড়ুন >> অরিত্রির মৃত্যু, শুধুই আত্মহত্যা?
ওই রিটে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন আইন ২০০৫ অনুযায়ী সব শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের। তবে ২০০৯ সালের বেসরকারি স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডির রেগুলেশন এবং ১৯৬১ সালের শিক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডিকে দেয়া হয়েছে। অথচ অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার তার ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এফএইচ/এমএআর/এমএস