সন্দেহটা হয়েছিল এলাকাবাসীরও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাজির হলো পুলিশ। তল্লাশি চালাতেই পাওয়া গেল জলজ্যান্ত এক কিশোরী। যাকে পাচারের উদ্দেশে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
Advertisement
এ সময় এক কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতন করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন দক্ষিণের সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ভানুপ্রিয়া। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হলো আরও তিনজন কিশোরী।
চেন্নাইয়ের টি নগর এলাকার বাসিন্দা ওই নায়িকার দাবি, চার কিশোরী তার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে। তারা বাড়ি থেকে নানা মূল্যবান জিনিস চুরি করেছিল, তাই তাদের বকাঝকা করছিলেন তিনি। পুলিশের শিশু পাচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এদিকে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কর্মকর্তা অচ্যুতা রাও জানিয়েছেন, তেলেগু সিনেমার নায়িকা ভানুপ্রিয়া ধরা পড়ে মিথ্যা কথা বলছেন। সে চারজন কিশোরীকে পাচারের জন্যই নিয়ে এসেছিল। চার জনের মধ্যে তিন জন কিশোরীকে ভানুপ্রিয়া নিয়ে এসেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।
Advertisement
তারপর থেকে তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। তিনজনের মা পুলিশ ও শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করে মেয়েদের উদ্ধারের অনুরোধ করে।
তারই ভিত্তিতে এবং ওই অভিনেত্রীর প্রতিবেশীদের সন্দেহের জের ধরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
মুক্ত হবার পর পুলিশের কাছে কিশোরীদের অভিযোগ, তাদের পেট ভরে খেতে দেওয়া হত না। বাড়ির সব কাজ তাদের দিয়ে করানো হতো। সামান্য ভুল হলে চূড়ান্ত মারধর করতেন ভানুপ্রিয়া। এমনকী যৌন হেনস্থাও করা হয়েছে তাদের।
তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, চতুর্থ জনের পরিবারের খোঁজ এখনও মেলেনি। বাকি তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। তাদের ভালো মাইনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে গ্রাম থেকে তুলে এনেছিলেন ভানুপ্রিয়া। ওই কিশোরীদের শারীরিক পরীক্ষায় যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। তাদের সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
Advertisement
পুলিশ ও শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন সূত্রে খবর, ভানুপ্রিয়া ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে শিশু পাচারসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর কোনো কিশোরী তাদের হেফাজতে রয়েছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এলএ/জেআইএম