বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চিঠিতে বাফুফেতে বেশ কয়টি অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
Advertisement
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ দুদকের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, ‘সভাপতি বরাবর এ চিঠি দিয়েছে দুদক।’ আজ দুপুরে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুদক কয়েটি বিষয়ে তাদের কাছে কাগজপত্র চেয়েছে। তাদের চাহিদামতো ডকুমেন্টসগুলো দুদককে সরবরাহ করবো।’ কী কী বিষয় খতিয়ে দেখছে দুদক জানতে চাওয়া হলে তার জবাবে সোহাগ বলেন, ‘৭/৮ টি বিষয়ে তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের চ্যাম্পিয়ন নেপালকে প্রাইজমানি দিতে কেন বিলম্বিত হয়েছিল তা জানতে চেয়েছে।’
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘দুদক জানতে চেয়েছে আমরা সলিডারিটি কাপ না খেলায় এএফসি যে জরিমানা করেছিল সে বিষয়ে। এর পাশপাশি ফিফার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ব্ল্যাটারের ঢাকা সফরের খরচের হিসাবও চেয়েছে। তখন অতিরিক্ত খরচ হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।’
উল্লেখ ২০১৬ সালে এএফসি সলিডারিটি কাপে অংশ নেয়নি। যে কারণে ২০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুণতে হয়েছিল বাফুফে। এছাড়া জাতীয় দলের সাবেক দুই কোচ নেদারল্যান্ডসের লোডভিক ডি ক্রুইফ ও রেনে কোস্টারের পাওনা নিয়ে যে ঝামেলা হয়েছিল সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে দুদক।
Advertisement
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নেপাল। ফাইনালে তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাহরাইন অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রাইজমানি হিসেবে নেপালের পাওনা ছিল ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ২৫ হাজার মার্কিন ডলার দেয়ার পর বাকি অর্থ দিতে বিলম্ব করেছিল বাফুফে।
‘নেপালের প্রাইজমানির অর্থ আমরা পুরোটাই পরিশোধ করেছি। সেই ডকুমেন্টস আমরা খুব তাড়াতাড়ি দুদককে সরবরাহ করবো। আসলে দুদকের এটি রুটিন ওয়ার্ক। কেউ অভিযোগ করলে সেটা খতিয়ে দেখতেই পারে তারা’-বলেছেন বাফুফের সাধরণ সম্পাদক।
আরআই/এসএএস/জেআইএম
Advertisement