দিদিয়ের দ্রগবা। টানা এক যুগ আইভরি কোস্টের জার্সি গায়ে করেছেন ৬৫ গোল। ২০১৪ সালে অবসরে যাওয়া এ স্ট্রাইকার দেশটির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। অনেকে তাকে চেনেন চেলসির দ্রগবা হিসেবেও।
Advertisement
বিশ্বের অন্যতম সেরা এ স্ট্রাইকারের দেশের এক ফুটবলার আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে। এ বছর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রে নাম লেখানো ২৬ বছরের এ ফুটবলারের নাম বাল্লো ফামোসা। প্রিমিয়ার লিগের চার রাউন্ড শেষে তার নাম গোলদাতাদের উপরে।
প্রিমিয়ার লিগে এবার মিডিওকার দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র। অনেকের চোখে ছোটদল। সেই ছোটদলের বড় তারকা বাল্লো ফামোসা। চার ম্যাচে এক হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ গোল করেছেন তিনি। এবারের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম হ্যাটট্রিকম্যানও তিনি। মুক্তিযোদ্ধার হোম ভেন্যু গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে বাল্লো একই বিধ্বস্ত করেছিলেন প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে।
চার ম্যাচ খেলে দুটি জয় পেয়েছে আবদুল কাইয়ুম সেন্টুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র। দুটি জয়ই এনে দিয়েছেন আফ্রিকান এ ফরোয়ার্ড। শেখ জামালের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের পর সোমবার জোড়া গোল করেছেন নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে। স্বাগতিক নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব তাদের হোম ভেন্যুতে হেরেছে ২-০ গোলে।
Advertisement
এ ম্যাচের আগে গোলদাতাদের তালিকায় আবাহনীর নাবিব নেওয়াজ জীবন, আরামবাগের জাহিদ হোসেন, রহমতগঞ্জের সিয়ো জুনাপিওর সঙ্গে সমান্তরালে ছিলেন বাল্লো। সোমবার সবাইকে ছাড়িয়ে মগডালে বসেছেন আইভরি কোস্টের এ যুবক। তার লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগে গোলদাতাদের শীর্ষস্থানটা ধরে রাখা।
মুক্তিযোদ্ধার কোচ আবদুল কাইয়ুম সেন্টু বেশ উচ্ছ্বসিত বাল্লোর পারফরম্যান্সে। তিনি বলেন, ‘আমি ওকে কেন্দ্র করেই অনুশীলন করাই। বাল্লোর সঙ্গে জাপানি কাতোর বোঝাপড়া বেশ সুন্দর। আমরা এখন বাল্লোর দিকেই তাকিয়ে থাকি ম্যাচে। ওর গোল করার দক্ষতা অনেক ভালো।’
আরআই/এমএমআর/বিএ
Advertisement