নিজেরা আগে ব্যাট করে মাত্র ১৩৫ রানেই থেমে যাওয়া, পরে বল হাতে নেমে ২০ বল আগেই ম্যাচে হেরে যাওয়া- টুর্নামেন্টের দুর্দান্ত সূচনা করা চিটাগং ভাইকিংসের বিদায়টা একপ্রকার শোচনীয়ভাবেই হলো। ব্যাট হাতে ছিলো না কোনো প্রতিরোধ, বল হাতেও পারেনি ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরাতে।
Advertisement
অথচ রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের দুই ম্যাচেই ঢাকার বিপক্ষে জিতেছিল চিটাগং ভাইকিংস। কিন্তু সুপার ফোরের ম্যাচে এসে আর পারেনি মুশফিকুর রহীমের দল। নকআউট পর্বে ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকরা যেমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই কিংবা রানের ফোয়ারা দেখার আশা নিয়ে বসেন, সেই প্রত্যাশাও মেটাতে পারেনি চিটাগং।
তাই ম্যাচ শেষে মুশফিকের কণ্ঠেও শোনা গেল এ নিয়ে হতাশা ও আক্ষেপের কথা। ম্যাচে জয়-পরাজয় থাকবেই, তাই বলে এমন একপেশে লড়াই হবে তা আশা করেননি চিটাগং অধিনায়ক নিজেও। ঢাকার বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচ জিতলেও, সুপার ফোরের ম্যাচটি কঠিন হবে তাও জানতেন মুশফিক।
এমন একপেশে লড়াইয়ের ব্যাপারে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে চিটাগং অধিনায়ক বলেন, ‘না। অবশ্যই এমন একপেশে ম্যাচ আশা করিনি। বাঁচা মরার ম্যাচ ছিল। রান হবে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে- এমনটাই তো চেয়েছিলাম আমরা। স্কোরবোর্ডে অন্তত ১৬০ রান থাকলেও ঢাকাকে আমরা চাপে ফেলতে পারতাম।’
Advertisement
তিনি আজকের হারের দায়টা যেনো ব্যাটসম্যানদের কাঁধেই দিতে চান। কেননা তিনজন ব্যতীত আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। অধিনায়ক মুশফিক নিজেও ফিরেছেন মাত্র ৭ রান করে। ভালো শুরু করা ক্যামেরন ডেলপোর্ট কাটা পড়েন রানআউটে। তরুণ সাদমানও নিজের শুরুটাকে বড় ইনিংসে রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এক ম্যাচে এতোগুলো ভুল করলে ম্যাচ জেতা কঠিন বলে মন্তব্য করেন মুশফিক।
চিটাগং অধিনায়কের ভাষ্যে, ‘আপনি যদি আজকের উইকেটটা দেখেন, তাহলে কিন্তু দেখা যায় উইকেট খুব একটা খারাপ কিংবা বোলার ফ্রেন্ডলি ছিল না। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো শুরু করেছিল কিন্তু বড় করতে পারেনি। ডেলপোর্ট রানআউট হয়ে গেল। পরের ব্যাটসম্যানরাও সেট হয়ে ইনিংস ক্যারি করতে পারেনি। আপনি ঢাকার মতো বড় কোনো দলের বিপক্ষে যখন খেলবেন তখন এতোগুলো ভুল করলে ম্যাচ জেতা যায় না আসলে। তারপরেও আমি বলবো চিটাগং যেমন দল ছিলো, সেখান থেকে এতদূর আসা অবশ্যই গর্ব করার মতো।’
মুশফিকের কথার সূত্র ধরেই এগোলে দেখা যায় টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তেমন একটা মাতামাতি ছিলো না চিটাগংয়ের ব্যাপারে। তবু নিজেদের প্রথম সাত ম্যাচের মধ্যে ৬টিতে জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিল মুশফিকের দলটি। কিন্তু এরপর ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে খেলতে গিয়ে চার ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিততে পেরেছিল তারা।
ঢাকা পর্ব থেকে চট্টগ্রাম পর্বের মাঝের যে বিরতি, তাতেই ছন্দপতন ঘটেছে চিটাগংয়ের? মুশফিক মানছেন না এমন কিছু। তার কথা, ‘দেখেন, আমরা শুরুতে জিতেছি বলে তখন আমাদের দলের অবস্থা ভালো ছিল। যদি উল্টোটা হতো মানে আমরা হারতে থাকতাম তাহলে হয়তো দেখা যেত যে আমরা সেই বিরতিটাই খুঁজতাম একটু রিফ্রেশ হওয়ার জন্য। তাই আমি এটাকে কোনো অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে পারি না।’
Advertisement
এসএএস/এমএমআর/এমএস