পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। কলকাতায় এসে বিজেপির রাজ্য দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর।
Advertisement
তবে রাজ্যে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। তার মন্তব্য, আমরা যা করি তা বলি না। সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী সরাসরি আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তিনি বলেন, দলের মন্ত্রী, সাংসদ, নেতারা যখন গ্রেফতার হন, তখন তো ধর্নায় বসেননি মমতা? তবে কী লুকাতে চাইছেন? কাকে বাঁচাতে চাইছেন? নিজেকে?
আরও পড়ুন : কেন্দ্রের সঙ্গে নজিরবিহীন সংঘাত, টানা ধর্নায় মমতা
Advertisement
মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরের প্রশ্ন, ধরনা কলকাতা পুলিশ কমিশনরের জন্য, মুখ্যমন্ত্রী ধন্য? ভারতের ইতিহাসে প্রথম। লাল ডায়েরি আর পেনড্রাইভ কার কাছে? পুলিশ কমিশনারের কাছে?
জাভরেকর বলেন, চিটফান্ড নিয়ে এই মামলা করেছিল কংগ্রেস। তার ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে। অথচ ধর্নায় রাহুল গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করায় কটাক্ষ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা এখনই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন বা ৩৫৬ ধারা চাইছি না। সময় আছে।
উল্লেখ্য, সারদা দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাসায় দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) কর্মকর্তাদের অভিযানের জেরে নজিরবিহীন ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : মমতার পাশে বিরোধীরা
Advertisement
রোববার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মমতার এই ধর্না এখনো চলছে। মমতাকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ অন্যরা সমর্থন দিয়েছেন। অবস্থান ধর্মঘট থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মমতা।
এসআইএস/জেআইএম