রাজনীতি

শুধু তৃণমূলের রিপোর্টের ভিত্তিতে মনোনয়ন নয়

উপজেলা নির্বাচনে দলের নেতাদের মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুধু তৃণমূলের নেতাকর্মীদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মনোনয়ন দেয়া হবে না। এখানে সার্ভে রিপোর্টও দেখা হবে।

Advertisement

সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি উদ্বোধন করে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এক উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পেতে ১৫ থেকে ১৮ জন দরখাস্ত করেছেন। তারা তাদের সিভিসহ এপ্লিকেশন জমা দিয়েছেন। দলীয় প্রধান, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিভিগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি নিজেও দেখছেন। আমরা অনেক যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দেব। তবে আমাদের দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মী অগ্রাধিকার পাবে।

ডাকসু নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলছে বিএনপি- এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যাচ্ছে। এটা তাদের স্বভাবসুলভ অভিযোগ। যে কোনো নির্বাচনে রেজাল্ট হওয়ার আগপর্যন্ত তারা অভিযোগ করতে থাকে।

Advertisement

গণভবনে চা- চক্রের আয়োজন ‘বিবেকহীন আনন্দের আয়োজন’ বিএনপির এ মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে নেতিবাচক রাজনীতির গভীর খাদের কিনারায় চলে এসেছে বিএনপি। বেসামাল-বেপরোয়া হয়ে তারা যখন যা খুশি তাই বলছে। বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের নেতারাই শুধু নির্বাচনকে বিতর্ক করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কে, কী বলল- এটা নিয়ে আমাদের আসে যায় না। এটা ব্যর্থ বিএনপির অসংলগ্ন প্রলাপ ছাড়া কিছু না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে কোনো প্রশ্ন নেই। দুনিয়ার সব সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ এ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা স্বয়ং জাতিসংঘ বলছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে কোথাও কোনো প্রশ্ন নেই, কোথাও কোনো বিতর্ক নেই। দেশের জনগণের মাঝে কোনো বিরূপ সমালোচনা নেই।

আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেপরোয়া হয়ে দলটি অসংলগ্ন প্রলাপ বকছে। বিএনপি নেত্রীর মুক্তির বিষয়টি হচ্ছে আইনগত বিষয়। আইনগতভাবেই তাকে মুক্ত করতে হবে। আন্দোলন করে বেগম জিয়াকে বিএনপি মুক্ত করবে, এটা দেশের জনগণ আর বিশ্বাস করে না। তাদের আন্দোলনে আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনে সার। এর কোনো অবেদন নেই। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

এইউএ/জেডএ/এমকেএইচ

Advertisement