খেলাধুলা

বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন তাসকিন?

নিজেকে বেশ দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরেও মাঠে নামার আগেই ছিটকে গিয়েছেন ইনজুরির কারণে।

Advertisement

চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া গোড়ালির ইনজুরির কারণে নিউজিল্যান্ড সফরে খেলতে পারবেন না তাসকিন- এটা পুরনো খবর। নতুন খবর হলো গোড়ালির লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার কারণে তাসকিনকে মে-জুন মাসে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে পাওয়ার ব্যাপারেও সংশয়ে রয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

এর কারণটাও একদম সুস্পষ্ট। কেননা গোড়ালির ইনজুরির কারণে অন্তত ছয় সপ্তাহ তথা প্রায় দুই মাসের কাছাকাছি সময় মাঠের বাইরেই থাকতে হবে তাসকিনকে। এরপর মাঠে ফিরে যোগ দিতে হবে ফিটনেস ও রিহ্যাব প্রক্রিয়ায়। সেটি ঠিক হলেও মাসদুয়েক পরে তাসকিনের বোলিংয়ের কি অবস্থা দাঁড়ায় ভাবনায় রাখতে সেটিকেও।

আজ সকালে জাগোনিউজের সঙ্গে ফোনালাপে ডাক্তারদের দেয়া তথ্য জানিয়ে নান্নু বলেন, ‘তাসকিনকে বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে কি-না সে ব্যাপারে একটা সংশয় রয়েই গেছে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে যেকোনো ধরনের লিগামেন্ট ছিঁড়লেই সেটি সারতে এবং মাঠে ফিরতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগে। কিন্তু আমাদের তো বিশ্বকাপের আগে সময় বাকি মাত্র তিন মাস। তাই একটা সংশয় থেকেই গিয়েছে।’

Advertisement

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু অনেক সংশয়ের কথা বললেও, বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য করতে চান না। সকাল সকাল জাগোনিউজের ফোন পেয়ে তার কথা, ‘বিশ্বকাপ এখনো দেরি আছে, তার আগে আয়ারল্যান্ড। কাজেই একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি এখনই বলতে পারবো না যে তাসকিন বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না বা ঘুরিয়ে বললে সামনের তিন মাসে তার মাঠে ফেরা সম্ভব না।’

ডাক্তার দেবাশিষের ব্যাখ্যা, ‘রিহ্যাবটা যদি ভালো হয়। ফোলা এবং ব্যথা যদি কমতে থাকে। এরসঙ্গে ওয়েট ট্রেনিংটা ভালোভাবে করতে পারে, তা হলে যথাসময়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা অবশ্যই আছে।’

তার শেষ কথা হলো, ‘এখন থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রাম। তারপর ব্যথা এবং ফোলা কমলে ধীরে ধীরে রিহ্যাবে যাওয়া। সেই ব্যথা-ফোলা কমার পর রিহ্যাবটা কেমন হয়, তাসকিন কতোটা তাড়াতাড়ি রিকভার করতে পারেন এবং শরীরে বাড়তি ওজন বহন করতে পারেন- সেটার ওপরেই নির্ভর করবে সব কিছু।’

‘তাসকিনের প্রথম রিহ্যাব প্রক্রিয়াটা হবে কোনোরকমের ওজন বহন ছাড়াই। তখন যদি ব্যথা অনুভূত না হয় তাহলে অল্প অল্প করে ওজন বহনের ট্রেনিং করানো হবে। তখন ভারী ওজন দিয়ে পুরোদমে শুরু হবে রিহ্যাব প্রক্রিয়া। সবকিছুই নির্ভর করছে কত দ্রুত রিকভার করতে পারেন তাসকিন’ – বলেন ডাক্তার দেবাশিষ।

Advertisement

এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ