জাতীয়

‘বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়ী করতে নেট মিটারিং ব্যবস্থা’

নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ‘ডিস্ট্রিবিউট জেনারেশন’কে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার ফলে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হয় বলে জানিয়েছে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)।

Advertisement

আজ (রোববার) গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য গতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিদ্যুতের সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীৰ্ষক আলোচনা সভায় বিষয়টি জানানো হয়।

স্রেডার চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন আহমেদ আলোচনা সভায় নেট মিটারিং-এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আয়োজকরা জানান, নেট মিটারিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক নিজ স্থাপনায় স্থাপিত নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক সিস্টেমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিজে ব্যবহার করে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিতরণ গ্রিডে সরবরাহ করেন। এ ভাবে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিল পরবর্তী মাসের সাথে সমন্বয় করা হয় এ প্রক্রিয়ার ফলে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হয়।

Advertisement

এ পর্যন্ত ভারত শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে এ পদ্ধতি চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে বগুড়ার খাদ্য অধিদফতরের একটি ভবনের ছাদে স্থাপিত সোলার সিস্টেমকে বিতরণের সাথে সংযুক্ত করে নেট মিটারিং প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ আমদানি-রফতানি হচ্ছে।

আয়োজকরা বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রধান উৎসগুলো হচ্ছে- সৌরশক্তি,পানি শক্তি, বায়ু শক্তি, বায়োম্যাস, ভূগর্ভস্থ তাপীয় শক্তি, ওয়েভ এবং টাইডাল শক্তি। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে সম্ভাবনাময় উৎস হচ্ছে সৌরশক্তি।

সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ যাবৎ প্রায় ২৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে, যার সিংহভাগই এসেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এলাকায় স্ট্যান্ড এলোন হিসেবে স্থাপিত সোলার হোম সিস্টেম থেকে। ইতোমধ্যে স্থাপিত সোলার হোম সিস্টেমের সংখ্যা প্রায় পাঁচ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে। কিন্তু প্রতি মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তিন একরের বেশি ভূমির প্রয়োজন হওয়ায় বৃহৎ আকারে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভূমির সংস্থান দুরুহ।

এ কারণে গ্রিডে সংযুক্ত বিভিন্ন স্থাপনা যেমন বাসাবাড়ি, শিল্প-কারখানার ব্যবহৃত ছাদে সোলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। ছাদে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান বৃদ্ধি পাবে। সোলার সিস্টেম স্থাপনের জন্য গ্রাহককে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হলে তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে উৎসাহিত করবে।

Advertisement

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন প্রমুখ।

এএস/এনএফ/এমএস