মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই অত্যান্ত নোংরা পরিবেশে ওষুধ তৈরীর অভিযোগে ঢাকা হোমিও ল্যাবরেটরি সীলগালা ও মালিককে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ডেমরার মাতুয়াইল শান্তিবাগ, কোনা পাড়াস্থ ‘ঢাকা হোমিও ল্যাবরেটরি’তে এ অভিযান চালায় র্যাব-১০। এসময় র্যাব-১০ এর কর্মকর্তা এএসপি মো. সোনাহর আলী, ওষুধ প্রশাসনের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. অজিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, ওষুধ তৈরীর কারখানাটির বাইরে ও এর আশে-পাশের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা। কারখানার সামনে একটি বড় নর্দমা রয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা হোমিও ল্যাবরেটরি নামে ওষুধ প্রস্তুতকারী এ কোম্পানীর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের লাইসেন্সও রয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, অভিযানকালে দেখা যায় এক তলা বিশিষ্ট জরাজীর্ণ ভবনে ওষুধ তৈরীর কারখানায় কোন মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। হারবালের বিভিন্ন কাচাঁমাল প্লাষ্টিকের যে ড্রামে রাখা হয়েছে তার ভিতর-বাহির ধূলো আর ছত্রাকের পুরো স্তর। সেখানে একটি ড্রাম খুলে দেখা যায়, ৮/১০ কেজি মৃত মৌমাছি রাখা হয়েছে। মুহূর্তে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
Advertisement
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আলী হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে মৃত মৌমাছি থেকে ওষুধ তৈরির কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপার মো. অজিউল্লাহ জানান, এ প্রতিষ্ঠানের ওষুধগুলোর প্রায় সবগুলোর লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু এর কোন মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি এমনকি কোন মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও নেই। লাইসেন্সের অনেক শর্তই লঙ্ঘন করেছেন, তিনি হোমিও ওষুধ তৈরীর লাইসেন্স পেলেও তৈরী করছেন হোমিও ও ইউনানী ওষুধ। এর মধ্যে আশোকা, এফেনা, আমলকি, আলফালফা, এ্যাগনাসকাস্ট,অর্জুন, এভেনা স্যাটাইভা, চেলিডোনিয়াম মেজাস, ব্রাইওনিয়া এ্যালব, ইচিনেসিয়া ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য ওষুধ।
তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম কারখানাটি সীলগালা করা এবং মালিক আলী হোসেনকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
জেইউ/এএইচ
Advertisement