রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির নকল ওষুধ ও তৈরির সরঞ্জামসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। গ্রেফতাররা ইনসুলিন ও পেথিডিনের মতো সংবেদনশীল ওষুধের হুবহু নকল মোড়ক ও বোতল তৈরি করে ভেতরে ভেজাল ওষুধ দিয়ে বাজারজাত করতেন।
Advertisement
গ্রেফতার ৫ জন হলেন- আব্দুস সোবাহান, নাইমুর রহমান ওরফে তুষার, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মৃদুল, নারগিছ বেগম ও ওয়াহিদ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চক্রটি ভেজাল ওষুধ তৈরি করে বিভিন্ন নামিদামি ওষুধ কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল। ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তারা সিল মেরে মেয়াদ বর্ধিত করতো!
মো. আবদুল বাতেন বলেন, নকল ও ভেজাল ওষুধ থেকে বাঁচতে ওষুধ কেনার আগে ভালো মানের ফার্মেসি থেকে ক্রয় করা উচিৎ। এ চক্রটি সাধারণত নরমাল ও অখ্যাত ফার্মেসিগুলোতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহ করে থাকে। এরা সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাসস্থল টার্গেট করে ভেজাল ওষুধ সরবরাহ করে।
Advertisement
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রিন্টার মেশিন, রঙের কৌটা; তৈরির ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, মূল্য, ব্যাচ নং ইত্যাদি লেখাসহ বিভিন্ন প্রকার সিল, ৫ মিলি. পানির বোতল ৩০০ পিস, সেক্স পাওয়ার ক্যাপসুল ৮৫ হাজার পিস, অ্যাক্ট্রাপিড ১০ মিলি. ৬৫ পিস ইনসুলিন, মিক্সটার্ড ৩০ মিলি. ৫ পিস ইনসুলিন, জি পেথিডিন ইনজেকশনের খালি কাঁচের বোতল ১৬২৫টি, একটি এয়ার হটগান, জি পেথিডিন ইনজেকশনের প্লাস্টিকের ট্রে (ছোট) ১ বস্তা, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লি. লেখা জি পেথিডিন ইনজেকশনের ফুয়েল পেপার (স্টিকার) ১ রোল, প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর অ্যালাট লেখা ওষুধের ফুয়েল পেপার ইত্যাদি জব্দ করা হয়েছে।
আব্দুল বাতেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সোহাবান দীর্ঘ দিন একাধিক কোম্পানির ওষুধ নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকল ওষুধ, লেভেল ইত্যাদি তৈরির কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করে দেশীয় পদ্ধতিতে ওষুধের গায়ে মেয়াদ, ব্যাচ নং, মূল্য ইত্যাদি নতুনভাবে সংযোজন করে পুনরায় তা বাজারজাত করে আসছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এআর/আরএস/এমএস
Advertisement