আন্তর্জাতিক

চুল বড় রাখতে আদালতে মামলা

নিজের ইচ্ছামতো চুল বড় করতে চেয়েছিলেন জার্মানির এক সেনা কর্মকর্তা। এতে বাধ সাধে সামরিক কর্তৃপক্ষ। তবে থেমে যাননি ওই সেনা কর্মকর্তা। রীতিমতো আদালতে মামলা ঠুঁকে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। আদালত তার নির্দেশনায় বলেছেন, সেনা কর্মকর্তাদের চুলে অবশ্যই একটি সুনির্দিষ্ট ছাঁট থাকবে। গোথিক সেনাদেরও সেই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তবে আদালত এ-ও বলেছেন, চুল ছাঁটের বিষয়ে কঠিন নিয়মটি সেনা কর্তৃপক্ষকেও নতুন করে ভাবতে হবে।

অভিযোগ দায়েরকারী সেনা কর্মকর্তা আদালতে বলেন, ‘অতীত ঘাঁটলেই দেখা যায় যে, প্রাচীন যোদ্ধাদের লম্বা চুল ছিল। সেই লম্বা চুল তাঁদের কোনো অসুবিধা করেছে বলে ইতিহাসে উল্লেখ নেই।’ ৫১ বছর বয়সী ওই সেনা কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, এখনকার নিয়মে যদি একজন নারীসেনা চুল লম্বা রাখতে পারেন, তবে কেন পুরুষ সেনা পারবে না?

ওই সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে বন শহরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। বন শহরের আদালতেই লম্বা চুল রাখার অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার আদালতের রায় তার বিরুদ্ধে যায়। আদালত জানায়, সামরিক বাহিনীতে চুলকাটা বিষয়ক যে বিধান রয়েছে, তার পেছনে পর্যাপ্ত আইনগত ভিত্তি পরিলক্ষিত হয়নি ঠিকই, তবে নতুন নিয়ম না আসা পর্যন্ত এই বিধানই বহাল থাকবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, জার্মান সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, একজন সেনা কর্মকর্তার চুল তাঁর চোখ ও কান স্পর্শ করতে পারবে না এবং পেছন থেকে শার্টের কলার স্পর্শ করতে পারবে না। নারীদের ক্ষেত্রে চুল ছোট করার বিধান না থাকলেও কখনোই চুল খোলা থাকতে পারবে না এবং চুল সবসময রাবার ব্যান্ড দিয়ে বাঁধা থাকতে হবে।

আদালত অবশ্য এ-ও উল্লেখ করেন, একই পেশায় নারী-পুরুষের সম অধিকারের যে বিধান আছে তাতে পোশাক ও সজ্জা ভিন্ন হলে তা নিয়ম ভঙ্গেরই সমান। এক্ষেত্রে আরও যৌক্তিক আইনগত ভিত্তি প্রয়োজন ছিল।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

এসআর/পিআর

Advertisement