ধর্ম

অভিবাসী নাজমার আহ্বানে ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ পালিত

পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নারী নাজমা খান। ১১ বছর বয়সে পাড়ি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কয়েক বছর আগে জ্যামাইকায় এ অভিবাসী নারী হিজাব পরিধানের কারণে আক্রমণের শিকার হন। তার আহ্বানেই ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের প্রায় দেড়শ’ দেশ বিশ্ব হিজাব দিবস পালন করছে। অমুসলিমরাও এ দিবসে হিজাব পরিধান করে অংশগ্রহণ করেছে।

Advertisement

১১ বছরের কিশোরী নাজমা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বড় হলেও প্রাথমিক শিক্ষার শুরু থেকেই মুসলিম সন্তান হিসেবে পর্দার বিধান পালন করতেন। আর এ পর্দার বিধান পালনে হিজাব পরিধান করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় অপমানিত ও লাঞ্ছিত হন।

হিজাব পরিধানের কারণে ১/১১’র সময় তাকে শুনতে হয়েছে টেরোরিস্ট, ওসামা বিন লাদেন, ব্যাটম্যান ও নিনজাসহ নানান কটু কথা। অতঃপর এ হিজাব পরিধানের কারণেই ২০১৩ সালে তাকে আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল।

নাজমা খান যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের শুরু দিকেই নিজের মনে এ ইচ্ছা পোষণ করতেন যে, যদি একটি দিনের জন্য হলেও মুসলিম-অমুসলিম সবাই হিজাব পরিধান করে পর্দার বিধানকে সম্মান জানাতো তবে মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধানের পরিবেশ হয়ে ওঠতো সহয়াক। সে সময় থেকেই তিনি তার ইচ্ছার কথা অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে থাকেন।

Advertisement

জ্যামাইকায় আক্রমণের শিকার হওয়ার পর নাজমা খানের সে ইচ্ছার প্রতিফলন শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ বিশ্বের ৪৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা রাজনীতিক, স্কলার, বিশ্ববিখ্যাত গণমাধ্যম সিএনএন ও টাইম ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন দেশের নারীরা হিজাব দিবস পালন করে।

এবার ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস পালনে নাজমা খানের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশি অ্যাক্টিভিস্ট মাজেদাসহ অনেক নারী।

আরও পড়ুন > ইসলামে হিজাব পরিধান করা আবশ্যক

উল্লেখ্য যে, ‘হিজাব আমার স্বাধীনতা, হিজাব আমার নিরাপত্তা, হিজাব আমার পছন্দ, হিজাব আমার আচ্ছাদন’-এ স্লোগানে বিশ্বের প্রায় দেড়শ’ দেশের মুসলিম-অমুসলিম নারীদের অংশগ্রহণে পালিত হয়েছে এবারের ‘ওয়াল্ড হিজাব ডে’।

Advertisement

‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ সব নারীকে এ কথাই মনে করিয়ে দেয় যে, হিজাব শুধু মুসলিমরাই পড়বে এমনটি নয়, বরং মুসলিম-অমুসলিম সবার জন্যই হিজাব নিরাপত্তা ও সম্মানের প্রতীক। যা ব্যবহারে নারী থাকে নিরাপদ।

নাজমা খানের এ কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী পর্দার বিধান পালনে মুসলিম নারীদের যেমন অনুপ্রাণিত করবে তেমনি অমুসলিম নারীদের মাঝেও হিজাব পরিধানে নিরাপত্তা লাভের আগ্রহ তৈরি হবে।

এমএমএস/পিআর