সিলেট ও চট্টগ্রামে রান হয়েছে প্রচুর। কিন্তু রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলায় যথারীতি রান খরা। উইকেট স্লো। বল আসছে থেমে থেমে। শটস খেলা কঠিন। বিগ হিট নেয়া আরও শক্ত। গড়পড়তা স্কোরলাইনও তাই সিলেট আর চট্টগ্রামের চেয়ে কম।
Advertisement
অথচ শেরে বাংলার এই উইকেটেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা হয়েছে। এমন উইকেটে খেলে কি উপকার হবে? বিপিএল যতই শেষের দিকে, এ প্রশ্ন ততই জোরালো উঠছে। আজ মাশরাফির প্রেস কনফারেন্সও উঠলো এ প্রশ্ন।
এক সিনিয়র সাংবাদিকের প্রশ্ন-আচ্ছা, যে উইকেটে বিপিএল হচ্ছে, তাতে খেলে আসলে কতটা উন্নতি সম্ভব? রংপুর তথা জাতীয় ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফির ব্যাখ্যায় যা বলেছেন, তার ভাব হচ্ছে-আসলে এমন উইকেটে খেলে কোনই উন্নতি সম্ভব নয়। তার অনুভব এ পিচে ব্যাটসম্যানদের ভাল খেলা সত্যিই কঠিন। আর বোলাররা উইকেট পেলেও সেটা উন্নতির মানদন্ড নয়। তাতে নিজের বোলিং মেধা ও কারুকাজের চেয়ে উইকেটের কারিশমাই বেশি।
তাই তো মুখে এমন কথা, ‘এটা নিশ্চিত ব্যাটসম্যানদের জন্য আসলেই কঠিন। বোলারদের উন্নতি হয় না। একজন বোলার ৪/৫ উইকেট পেয়ে যদি ভাবেন ভালো করছি, সেটা হবে বড় ভুল। জায়গামত চাপের মুখে সেই বোলার কেমন বল করে, সেটাই আসলে দেখার বিষয়। প্রেসারে বোলারদের খেলতে হবে।’
Advertisement
মাশরাফির কথা, বোলারদের উন্নতি করতে হলে চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে ভাল করতে হবে। কারণ সেখানে উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। বোলারদের ভাল করতে হলে, সামর্থ্যের সত্যিকার প্রয়োগ ঘটাতে হলে অনেক কিছু করে দেখাতে হবে।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের ভাষায়, ‘কখন ইয়র্কার দরকার, কোন সময় স্লোয়ার দিতে হবে, এখান থেকে শেখার ব্যাপারটা থাকে। কিন্তু বোলিং সহায় পিচে তো আর শেখার দরকার পড়ছে না। এক জায়গায় বল করলেই সফল হওয়া যাচ্ছে। আবার ব্যাটসম্যানের মাথা খাটিয়ে শট তো দূরে থাক, সাধারণ শট খেলাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এইসব ক্ষেত্রে উইকেট অনেক কিছু মেটার করে। সিলেট ও চট্টগ্রামে যে উইকেটে ব্যাটিং-বোলিং করেছি, এই ধরনের উইকেটে শেখার অনেক সুযোগ থাকে। কিন্তু মিরপুরে তা থাকে না।’
মাশরাফি মনে করেন, মিরপুরের উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নেই। এমনকি কিউরেটরের ওপর দায় চাপাতেও রাজি নন তিনি, ‘আমাদের এই উইকেট সব সময়েই আনপ্রেডিক্টেবল ছিল। হয়তো বা কিছু আছে উইকেটে, সবার কাছেই আনপ্রেডিক্টেবল। গামিনি অনেক চেষ্টা করে, আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছি। উইকেটে ১০-১৫ ওভার পরই আচরণ পরিবর্তন হয়। হুট করে বল লো হয়। ভেরি আনপ্রেডিকটেবল, কমেন্ট করা কঠিন আসলে।’
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ
Advertisement